হঠাৎ ডলারের দামে ছন্দপতন। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে ডলারের দাম কমেছে তিন টাকা। চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি থাকায় ডলারের দাম কমেছে বলে জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ জুলাই ডলারের গড় দর ছিল ১২২ টাকা ৭৩ পয়সা। সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত তা কমে ১১৯ টাকা ৭২ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত ৩০ জুন ১২২ টাকা ৯০ পয়সায় ডলারের লেনদেন হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দর চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে ঠিক করা হয়। বর্তমানে ডলার সরবরাহ অনেক ভালো। যে পরিমাণ ডলার রয়েছে সে পরিমাণ চাহিদা নেই। তাই ডলারের দর কমছে।
তিনি বলেন, ডলার বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে ব্যাংকগুলো থেকে ১৭১ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ ব্যাংক কিনেছে। যাতে রপ্তানিকারক ও রেমিটেন্স প্রেরণকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, গত অর্থবছর রেকর্ড রেমিটেন্স এসেছে দেশে। যার পরিমাণ ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। এ মাসের ১২ দিনে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন ঋণদাতা সংস্থা থেকে বাংলাদেশ সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এসবের প্রভাবে বাজারের ডলার সরবরাহ বেড়েছে। যার কারণে ডলারের দাম কমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ জুলাই পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী যা ২৬ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের ১০ জুলাই মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী ছিল ২১ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার।