বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:

ইমরান খানের সমর্থকদের সামরিক আদালতে বিচার, উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের

  • সময়: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০.৩৭ এএম
  • ৬ জন

সামরিক আদালতে সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কয়েক ডজন বেসামরিক সমর্থককে দোষী সাব্যস্ত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

সোমবার, ইমরান খানের ২৫ জন সমর্থককে দুই থেকে ১০ বছরের মধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর ফলে ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী সতর্ক করে বলেছে, কখনই আইন নিজের হাতে না নেওয়া যাবে না।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এই সামরিক আদালতগুলোতে বিচারিক স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার গ্যারান্টি নেই।

এছাড়া সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক আদালতে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।

পোস্টে ম্যাথিউ মিলার বলেন,পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক ট্রাইব্যুনালে সাজা দেওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।  পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে ন্যায়বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করে।

এক বিবৃতিতে এফসিডিও  বলেছে, ‘যুক্তরাজ্য পাকিস্তানের নিজস্ব আইনি প্রক্রিয়ার ওপর সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানালেও,সামরিক আদালতে বেসামরিক নাগরিকদের বিচার স্বচ্ছতা ও স্বাধীন মূল্যায়নের অভাব এবং ন্যায়বিচারের অধিকারের পরিপন্থী। আমরা পাকিস্তান সরকারকে আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদ (আইসিসিপিআর)-এর অধীনে তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।

এছাড়া ইইউর একজন মুখপাত্রও এই রায়গুলোকে ‘পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নেওয়া বাধ্যবাধকতার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।

ইইউ পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং জিএসপি+ ব্যবস্থাটি ইউরোপের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

পাকিস্তানের সংবিধানে সংরক্ষিত ন্যায়বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অধিকারের কথা উল্লেখ করে  এই অধিকারগুলোর প্রতি সম্মান জানাতে তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর কোনও বিবৃতির বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গত বছরের ৯ই মে ইমরান খানকে আটকের প্রতিবাদে পাকিস্তান জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।  এতে সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com