মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পূর্বাহ্ন

অর্থনৈতিক শুমারি শুরু ১০ ডিসেম্বর, প্রথমবারের মতো থাকছে বিদেশি কর্মীর তথ্যও

  • সময়: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৫.৪০ পিএম
  • ৫৪ জন

আগামী ১০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী সারা দেশে পরিচালিত হবে অর্থনৈতিক শুমারি। ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবারের শুমারিতে তথ্য সংগ্রহ করবেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর এমন শুমারি করে থাকে সংস্থাটি।

শুমারির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অর্থনৈতিক শুমারির ২০২৪ প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সন্মেলন কক্ষে আয়োজন করা হয় কর্মশালার। সেখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

উপ-প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, অর্থনৈতিক শুমারিতে ৬৫টি প্রশ্ন উঠে আসবে। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ক্যাপি পদ্ধতিতে এই শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যেই লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবারের শুমারিতেই প্রথমবারের মতো দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কর্মরত আছেন এবং নারী-পুরুষ কতজন সেসব তথ্য তুলে ধরা হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যার ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপমহাপরিচালক মোহাম্মদ ওবায়দুল ইসলাম এবং প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার।

বিস্তারিত তুলে ধরেন উপ-প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান। প্রশ্ন-উত্তর পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দীপঙ্কর।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিবিএসের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সদস্য এবং স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে শুমারির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতার জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা সফল শুমারি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার বলেন, এই কর্মশালার দিকনির্দেশনা শুমারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের দায়িত্ব পালনে আরও সক্রিয় করবে।

তিনি জানান, চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা শুমারি সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণ, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে জোনাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ এবং তালিকাকারীদের প্রশিক্ষণ ও সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রচার ও অন্যান্য কার্যক্রমও শেষ করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, বিবিএসের কর্মকর্তারা প্রতিটি ধাপে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছেন। এবারের অর্থনৈতিক শুমারি তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতিকে আরও উন্নত করার জন্য প্রচার-প্রচারণা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এর মধ্যে শেষ হয়েছে।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com