শিবিরের গুপ্ত কর্মীরা ‘মব’ সৃষ্টি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে এমন অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির দাবি, মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কথিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে শিবির ছাত্রদলের বিপক্ষে মব সৃষ্টি করেছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না করতে শিবিরের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ছাত্রদল নেতারা।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংগঠনটির নেতারা এই অভিযোগ করেন। ‘গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’র প্রতিবাদে এই মিছিল করে ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দেওয়ার পরও লাখো ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শান্ত রাখা হয়েছে।
মব কালচারের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, আগামীতে এ ধরনের অস্থিতিশীল কোনো ঘটনায় ক্যাম্পাস ক্রস ইস্যু করা হয় এবং মব ক্রিয়েট করা হয়, এর দায়দায়িত্ব গুপ্ত সংগঠনকে বহন করতে হবে। কয়েক বছর পর যখন এ সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, মব নিয়ে জাতির সামনে যখন প্রশ্ন আসবে, এ ছাত্রশিবির এবং বর্তমান সরকারকে এর দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে।
একটি গুপ্ত সংগঠন কথিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের মাধ্যমে ছাত্রদলের বিপক্ষে ‘মব’ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে আরো কয়েকটি জঘন্য হত্যাকাণ্ড হলেও এগুলো নিয়ে গুপ্ত সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কোনো শিক্ষার্থীকে বিভ্রান্ত করছেন না। শুধু মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। এমনকি তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামেও বিভিন্ন ‘প্রোপাগান্ডা’ (অপপ্রচার) চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিন সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ছিলো সরব উপস্থিতি। ব্যানার, ফেস্টুন, স্লোগানে মুখর ছিল কার্যালয়ের সামনের এলাকা। বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা নেতাকর্মীদের চোখে-মুখে ছিল ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ছাপ।
‘রাজাকার আর স্বৈরাচার মিলে মিলে এককার’ ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিণ্ডি যাবে রাজাকার’, ‘তুমি কে আমি কে বাংলাদেশি, বাংলাদেশি’ ‘দিল্লি নয়, পিণ্ডি নয়, সবার আগে বাংলাদেশ’, ‘এই লড়াই মুক্তির এই লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘বাংলাদেশ, গণতন্ত্র হয়নি শেষ, সজাগ থাকো বাংলাদেশ’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেয় ছাত্র দলের নেতা-কর্মীরা পুরো পথে প্রকম্পিত করে তোলেন।