পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টি ও এরফলে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৫৩ জনই শিশু। আহত হয়েছে ২১১ জন। সোমবার পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
জিও টিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ২৬ জুন থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে মারা যান ১১১ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মারা গেছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ঘনবসতিপূর্ণ পাঞ্জাব প্রদেশে।
জুনের শেষের দিকে, আকস্মিক বন্যায় নদীর তীর থেকে কমপক্ষে ১৩ জন পর্যটক ভেসে মারা যান।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ ১৫ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। ভারতের উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত একটি নিম্নচাপ আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগ ১৪ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত আজাদ কাশ্মীরের কিছু অংশে ঝড়ো বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
১৪ জুলাই রাত থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখাওয়ার কিছু অংশে ‘ভারী থেকে অতি ভারী’ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
এদিকে, সামা টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৫৩ জন শিশু, ৩৮ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী রয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় খানেওয়ালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন মোট ২১১ জন, যার মধ্যে ৮১ জন পুরুষ, ৮২ জন শিশু এবং ৪৮ জন নারী।
আকস্মিক বন্যা এবং ভারী বর্ষণের কারণে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা এবং নয়টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে ১৪৫টি বাড়ি এবং ৩১০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে ৪৪ জন নিহত এবং ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ছয়টি গবাদি পশুও মারা গেছে।
পিডিএমএ মহাপরিচালক নিশ্চিত করেছেন, আহতদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। চলমান বর্ষাকালে জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি একটি কঠোর নির্দেশিকাও জারি করেছেন।