সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের কয়েকটি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ভারতের

  • সময়: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৯.২১ এএম
  • ২১ জন

বাংলাদেশের কয়েকটি পণ্য ভারতের বাজারে আর ঢুকতে পারবে না। শনিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (ডিজিএফটি) জানায়, বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি রেডিমেড পোশাক, খাবার ভারতে আমদানি করা যাবে না।

ডিজিএফটি (DGFT) জানিয়েছে, তবে ভারত হয়ে নেপাল বা ভুটানের মতো দেশে ওই সব পণ্য যাওয়ার ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। খবর এনডিটিভির (NDTV)।

আরো জনানো হয়, ফল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলা, সুতির পোশাক, প্লাস্টিক এবং পিভিসি দিয়ে তৈরি জিনিস, রঞ্জকের মতো পণ্য বাংলাদেশ থেকে আসাম, মিজোরাম, মেঘালয় কিংবা ত্রিপুরার কোনো শুল্ককেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা এবং ফুলবাড়ি শুল্ককেন্দ্রের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে আসা মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেলের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

এর আগে বাংলাদেশের ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। এই ঘোষণার দিন কয়েক পরেই বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ করা হচ্ছে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা শুধু কার্যকর করা হয় স্থলবন্দরের ক্ষেত্রেই।

এদিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিকল্প পথের রূপরেখা চূড়ান্ত করতে চলেছে ভারত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)-এক কর্মকর্তা ওই প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে আসামের বরাক উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র শিলচর পর্যন্ত প্রায় ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চার লেনের জাতীয় সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করেছে ভারত সরকার। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রকল্পের এই রাস্তা যাবে মিয়ানমার সীমান্তের অদূরের পাঁচগ্রাম পর্যন্ত।

এই বিকল্প পথের সমুদ্র -যোগাযোগ হবে কলকাতা থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিত্তে বন্দর পর্যন্ত। সিত্তে থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে মিয়ানমারের কালাদান নদীপথে সে দেশের পালেটয়া যাবে ওই জলপথ। এর পরে সড়কপথে মিজোরামের জোরিনপুই পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। নতুন শিলং-শিলচর জাতীয় সড়ক এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করবে। পরবর্তী পর্যায়ে জোরিনপুই থেকে লুংলেই হয়ে আইজল পর্যন্ত সংযুক্ত হবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান ড. ইউনূস গত মার্চে চীন সফরে গিয়ে বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারত স্থলবেষ্টিত এবং ঢাকা এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।

এর পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নতুন প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved by BUD News 24-2025
Developed BY www.budnews24.com