অন্য দলগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে খেলে এবং তাদের কৌশল অনুযায়ী নিজেদের মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে ভারত পুরো আসরে কোনো ধরণের ভ্রমণ না করা, পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং এমন একটি দল গঠন করা যা পিচের সুবিধা নিতে পারে, এসব সুবিধা ভোগ করছে। আর এই সব বিষয় টুর্নামেন্টে ভারতের জন্য বড় সুবিধা বয়ে আনতে পারে।
স্কাই স্পোর্টস পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে অ্যাথারটন উল্লেখ করেন, ভারতকে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার বা শহর ও দেশের মধ্যে ভ্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে না, যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের করতে হবে। অ্যাথারটন এও স্বীকার করেছেন যে, ঠিক কতটা সুবিধা এটি দেয় তা বলা কঠিন, তবে সত্য হলো ভারত একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মনোনিবেশ করতে পারবে, যা দল নির্বাচন এবং প্রস্তুতিকে অনেক সহজ করে দেয়।
নাসির হোসেইন মনে করেন, ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, একই জায়গায় খেলার কারণে স্থিতিশীলতা পাওয়া। হুসেইন উল্লেখ করেন, পুরো টুর্নামেন্টে ভারত একই হোটেলে থাকবে, একই ড্রেসিং রুম ব্যবহার করবে এবং পরিচিত পিচে খেলা চালিয়ে যাবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করে নাসের বলেন , ‘আমি গতকাল একটি টুইট দেখেছি, পাকিস্তান আয়োজক দেশ, ভারত হোম অ্যাডভান্টেজ।
একই মাঠে খেলায় দল সাজানোর ক্ষেত্রেও ভারতের বাড়তি সুবিধা রয়েছে, এমনও বলেছেন নাসের, ‘অন্য সব দলকেই (দল) সাজাতে হয়েছে কয়েকটি ভেন্যু মাথায় রেখে—করাচি, লাহোর, রাউয়ালপিন্ডি দুবাই। তাদের ভ্রমণ করতে হবে আর এসব কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তানে ভ্রমণ করতে ভারত অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তাদের সব ম্যাচ দুবাইতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। দুবাইতে সরিয়ে নেওয়ার পর তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ভারত। দুবাইতেই হয়ে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি লড়াইও।