শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ফের রিজার্ভ

  • সময়: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১০.০১ এএম
  • ১৪০ জন

প্রবাসী আয় বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণও বাড়ছে। ফলে দীর্ঘদিন পর ফের বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ) এখনো ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ৬ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৫৭৩ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার কোটি ডলার (২০ বিলিয়ন)। গত মাসের শুরুর দিকে অর্থাৎ ২ অক্টোবর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৯ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন।

গ্রস রিজার্ভ ও বিপিএম-৬ এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেয়, প্রকাশ করে না। চলতি বছরের ৬ নভেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ (এনআইআর) আছে এক হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের মতো।

প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে না। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। এদিকে চলতি মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি দায় বাবদ দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে। ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়ছে এটা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক দিক। আশা করছি রেমিট্যান্স বাড়ার এ প্রবাহ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আকু দায় পরিশোধ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। প্রতি দুই মাস অন্তর এই দায় পরিশোধ করতে হয়। যখন বিলটি পরিশোধ করা হয় তখন রিজার্ভ কমবে এটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এরপর নতুন সরকার গঠনের পর আবার দেশ গঠনে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেন অনেক প্রবাসী। এর ফলে আবারও প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে।

আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়ায় ২২২ কোটি মার্কিন ডলারে (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। গত সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আরও বাড়ে। এ মাসে আসে ২৪০ কোটি  ৪৮ লাখ (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। কোনো একক মাসে এত প্রবাসী আয় গত চার বছরে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এর আগে গত জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৫৪ কোটি ডলার এবং তারও আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। অক্টোবরে আসে প্রায় ২৪০ কোটি (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

One thought on "২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ফের রিজার্ভ"

  1. বাড কর্পোরেশন says:

    ভালো খবর!

Leave a Reply to বাড কর্পোরেশন Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved by BUD News 24-2025
Developed BY www.budnews24.com