চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্তের ফলে এসব পণ্য ও সেবার খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়ে যেতে পারে।
মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে, যার ফলে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বেড়ে যাবে। একইভাবে ব্র্যান্ডের দোকান ও বিপণিবিতানের তৈরি পোশাকের আউটলেটের ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। রেস্তোরাঁর খাবারের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আপেল, নাশপাতি, ডিটারজেন্ট, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, চশমার ফ্রেমসহ আরও নানা পণ্য। ভ্রমণ করও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সরকার দুটি অধ্যাদেশ জারি করেছে- মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ- সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করায় নতুন শুল্ক ব্যবস্থা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।
এর আগে ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এনবিআরের প্রস্তাব পাস হয়। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণের চাপে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি সূত্র দৈনিক আমার দেশ- কে জানিয়েছে, “আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে সরকার শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক ও কর বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে।”
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ না থাকায় সরকার এই সিদ্ধান্ত অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করেছে।