বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির নেতারা।
রোববার ঢাকায় চীনা দূতাবাসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এবি পার্টি রাষ্ট্রদূত ইয়াওকে ২০২০ সালে এবি পার্টির গঠন, সংগঠন কাঠামো এবং সারা দেশে দলের বিস্তৃতি সম্পর্কে অবহিত করে। একই সঙ্গে আলোচনায় স্থান পায় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন, বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দলের ভূমিকার বিষয়ও। এ সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ এবং অবদানের জন্য এবি পার্টির নেতারা চীনের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে চীন সরকারের আরও সহযোগিতার সুযোগ এবং সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ স্থানান্তরে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানান তারা।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ২০২৫ সালে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর উদযাপন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন। এবি পার্টির নেতারা বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত হওয়ার বিষয়ে চীন থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
বাংলাদেশের পর্যটন খাতে চীনা কোম্পানিগুলো যেন বিনিয়োগ বাড়াতে পারে এবং এখানে আরও ব্যবসার বিকাশ করতে পারে, সেজন্য রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান এবি পার্টির নেতারা।
সাক্ষাৎকালে এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এবি পার্টি উইমেন ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, দলের ছায়া সরকার বিষয়ক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মো. প্রিন্স আল-আমিন প্রমুখ। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক ঝাং জিংও।