বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ নিবন্ধিত ১ম থেকে ১২তম ব্যাচের সনদধারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, বৈধ সনদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত হয়নি। দুর্নীতি বন্ধ করে বৈধ প্রার্থীদের ন্যায্য অধিকার যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেছেন এনটিআরসিএ নিবন্ধিত (১-১২তম) নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদ।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে এনটিআরসিএ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এ ঘোষণা দেন তারা।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নিয়োগে অসৎ পন্থা অবলম্বন করেছে। বৈধ সনদধারীদের বাদ দিয়ে জাল সনদ ব্যবহারকারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৬০ হাজারের বেশি জাল সনদধারী নিয়োগ পেয়েছে। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের রায় থাকা সত্ত্বেও বৈধ সনদধারীদের বয়সসীমার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট পদের জন্য বারবার আবেদন করলেও যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলে মিথ্যা দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতিমুক্ত একটি নিরপেক্ষ এনটিআরসিএর দাবি জানান তারা।
আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, প্রথম থেকে ১২তম ব্যাচের নিবন্ধিতরা বারবার আশ্বাস পেয়েও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখেননি। এরই ধারাবাহিকতায় তারা দাবি আদায়ে এবার আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বৈধ অধিকার নিশ্চিত করতে এনটিআরসিএর স্বচ্ছতা প্রয়োজন। দুর্নীতি ও বৈষম্য বন্ধ করে বৈধ প্রার্থীদের ন্যায্য নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনটিআরসিএর নিবন্ধিত ১ম-১২তম নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা আমির আসহাব, প্রধান সমন্বয়ক জিএম ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মো. সুজাউর রহমান (মানিকগঞ্জ), প্রিন্স রাজীব (নরসিংদী), গুলরোখ বানু (রংপুর), আসমাউল হুসনা (এলিজা) (জামালপুর), রাজিয়া সুলতানা রথি (খুলনা), তাছলিমা খাতুন শিল্পী (ঝিনাইদহ), লিওন সরকার (ঠাকুরগাঁও), পারুল আক্তার (আশাপরী) (টাঙ্গাইল), কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. মোস্তফা কামাল (নারায়ণগঞ্জ), আল মুমিন (গাইবান্ধা), আবু সাঈদ (কুষ্টিয়া), মো. শাহরিয়ার হোসেন (ঝিনাইদহ), শারমিন জাহান (ঢাকা), আফিয়া আক্তার (যশোর), কাকলি খাতুন (মাগুরা), রাজিবুল ইসলাম (যশোর), আব্দুল কুদ্দুস (সাতক্ষীরা), হেলাল পারভেজ (যশোর), জাকারিয়া (চাঁদপুর), মনিরা আক্তার (দিনাজপুর) সেলিম (বাগেরহাট) আব্দুল লতিফ (নওগাঁ) ও সুবল বিশ্বাস (ফরিদপুর)।