সংস্কার শেষে আগামী বছরের (২০২৫ সাল) শেষে দিকে কিংবা ২০২৬ এর শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি; তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণের কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি আওয়ামী লীগ। তবে কিছু সময় নিয়ে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রস্তুতি রয়েছে এ সংগঠনের।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে দলের নীতিনির্ধারক কয়েকজন নেতার টেলিফোন সংযোগ বন্ধ পাওয়া গেছে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম টেলিফোন রিসিভ করলেও নির্বাচনের সময় সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।
অবশ্য দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে। তবে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের সাফল্যের পক্ষে অসত্য বয়ান দিয়েছেন। তিনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সময় ‘যদি’ শব্দ উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু ‘যদির কথা তো নদীতে’ পড়ে। তা ছাড়া তিনি বিজয় দিবসের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অবশ্যই সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। কিন্তু সেটা না করে আওয়ামী লীগ নিধনের রাজনীতি চলছে। কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিহিংসার রাজনীতির এই বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুকে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নেতাকর্মীদের বাধা, হামলা ও গ্রেফতারের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই বিবৃতিটিই ছিল দলের সর্বশেষ বিবৃতি।