২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে এক বছরের সিলেবাসে, থাকবে বিজ্ঞান-মানবিক-বাণিজ্য বিভাগ। বর্তমানে নতুন শিাক্রমে বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) নেই। ফলে নবম শ্রেণীতেও একই পাঠ্যবই পড়ছে সব শিার্থী। তবে তারা যখন দশম শ্রেণীতে উঠবে, তখন বিভাগ বিভাজনের সুযোগ পাবে। তারা আগের নিয়মে যেন ২০২৬ সালের এসএসসি পরীায় অংশ নিতে পারে, সেজন্য সংপ্তি পাঠ্যসূচিও তৈরি করা হবে। জাগো নিউজ।
গতকাল রোববার শিা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিা (মাউশি) বিভাগ থেকে উপসচির মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫ সালে দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ শিার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীা (২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য) নেয়ার ল্েয বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (অর্থাৎ ২০২৩ শিাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) শিার্থীদের সরবরাহ করা হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, জাতীয় শিাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিাভিত্তিক এ পাঠ্যপুস্তকগুলোর একটি সংপ্তি পাঠ্যসূচি তৈরি করা হবে, যেন শিার্থীরা এক শিাবর্ষের মধ্যেই পাঠ্যসূচিটি শেষ করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।
এ ছাড়া, যেসব শিার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হবে, তাদের জাতীয় শিাক্রম-২০১২ এর আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক (২০২৩ শিাবর্ষে ব্যবহৃত) দেয়া হবে। এসব শিার্থী নবম ও দশম শ্রেণী মিলিয়ে দুুই শিাবর্ষে সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালের এসএসসি ও সমমান পরীায় অংশ নেবে।
শিা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিাবিদ, শিাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট শিা প্রশাসক, সুশীলসমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণ রূপে কার্যকর হবে।