শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ন

দেশের মানুষ সাফল্য চায়, তোমরা সেই সাফল্য এনে দিয়েছো

  • সময়: শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪, ৪.৫৩ পিএম
  • ৮৭ জন

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্যদের উদ্দেশ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের মানুষ সাফল্য চায় আর তোমরা আমাদের সেই সাফল্য এনে দিয়েছো। শনিবার নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে বিজয় অর্জনকারী এই দলটি তাদের স্বপ্ন ও সংগ্রামের কথা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শেয়ার করেন।

দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তারা অনেক বাধা পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন।

তিনি আরও বলেন, এটি কেবল নারী ফুটবল দল নয় বরং বাংলাদেশের নারীরা সাধারণত অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে। সাবিনা তার কিছু সহকর্মী যেমন মারিয়ার সংগ্রামের কথাও তুলে ধরেন। মারিয়া ময়মনসিংহের বিখ্যাত কলসিন্দুর গ্রাম থেকে এসেছেন, যা সাফজয়ী দলে ছয়জন খেলোয়াড় দিয়েছে। ছোটবেলায় পিতৃহারা মারিয়াকে তার মা বড় করেছেন।

অন্যান্য খেলোয়াড়রাও তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। উইঙ্গার কৃষ্ণা রাণী সরকার ঢাকায় তাদের থাকার সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং মিডফিল্ডার মানিকা চাকমা খাগড়াছড়ির লাকসামছড়ি উপজেলায় একটি প্রত্যন্ত এলাকার খেলোয়াড় হিসেবে তার সমস্যার কথা শেয়ার করেন। মিডফিল্ডার স্বপ্না রাণী তার নিজ জেলা দিনাজপুরের রাণীসঙ্কইলে খেলার অনুপযুক্ত অবকাঠামোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

কৃষ্ণা প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের আয়োজনের অনুরোধ জানান, বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার সঙ্গে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস প্রত্যেক খেলোয়াড়কে তাদের স্বপ্ন, সংগ্রাম ও দাবি লিখে তার দপ্তরে জমা দিতে বলেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে তাদের চাহিদা অগ্রাধিকারেরভিত্তিতে পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, তোমাদের যা কিছু চাওয়া আছে, তা বিনা দ্বিধায় লিখে পাঠাও। আমরা তোমাদের চাহিদা পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো এবং যা সম্ভব তা সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করবো।

এ অনুষ্ঠানে কোচ পিটার বাটলার, ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান চন্দ্র রায় ও নূরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছান সাফজয়ীরা।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved by BUD News 24-2025
Developed BY www.budnews24.com