নেতৃত্ব হলো এমন একটি গুণ, যা মানুষকে তার আচরণের মাধ্যমে প্রভাবিত করে সুসংগঠিতভাবে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা ও আত্মবিশ্বাস আর প্রত্যয়ের সঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। কিথ ডেভিসের মতে, ‘নেতৃত্ব হলো মানুষের এমন এক ধরনের ক্ষমতা বা গুণ, যা অন্যদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে উৎসাহিত করতে পারে।’
নেতৃত্বগুণ হলো মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি বা জন্মগত। আর নেতৃত্বকে শাণিত করে জ্ঞানচর্চা ও অনুশীলন।
আদর্শ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে যোগ্য নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিহার্য। সঠিক নেতৃত্বের ফলে একটি জাতি তার অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিকসহ সব ক্ষেত্রে উন্নতির চূড়ান্ত শিখরে আরোহণ করতে পারে। আবার দুর্বল বা অযোগ্য নেতৃত্ব জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসে। আমরা যুগে যুগে বহু শাসক দেখেছি, যারা একটি সুশৃঙ্খল জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। কিন্তু নবী ও রাসুলদের রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিসহ ইতিহাসের পরতে পরতে স্বর্ণাক্ষরে লেখা কিছু শাসকের নাম আমরা শুনেছি। যাঁরা যোগ্য নেতৃত্বের আদর্শের প্রতীক। কী সেই গুণাবলি, যা অর্ধপৃথিবী শাসন করতে পারে? আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সময়ের কসম। নিশ্চয়ই সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ততায় নিপতিত।