ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরুর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারা দেশের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার) একযোগে প্রশিক্ষণ শুরু করা হবে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ৯ লাখের বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করবে ইসি। এর আগে এসব কর্মকর্তার জন্য প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবে কমিশন। এই কর্মযজ্ঞে রাষ্ট্রের ব্যয় হবে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।
জানা গেছে, এবার ভোটার বাড়ায় ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যাও বাড়বে। ৪৪ হাজারের বেশি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ হবে পৌনে ৩ লাখের মতো। এতে রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোট কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন প্রায় ৯ লাখ ২৫ হাজারের মতো। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং অফিসার, ভোটকক্ষে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং দুজন পোলিং অফিসার ভোটারদের ভোটদানে সহায়তায় দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হতে পারে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রশিক্ষক তৈরি করা হবে, যারা ভোটের আগে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
আসাদুজ্জামান আরো জানান, প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের লক্ষ্য নিয়ে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা করছে ইসি। এ ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ তফসিল ঘোষণার পর শুরু হবে। এর আগে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ।