বদলিতে কমেছে জনবল, ঢিমেতালে চলছে তেজগাঁও থানা
-
সময়:
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১.৪৪ এএম
-
৪৯
জন
গণ-অভ্যুত্থানের পর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হওয়া থানাগুলোর মধ্যে অন্যতম রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা। ছাত্র-জনতার বিপক্ষে কাজ করায় এখানেও পুলিশ সদস্যরা আতঙ্কে। বদলির কারণে কমেছে জনবল সংখ্যা। অন্যদিকে থানার অস্ত্র, টহলগাড়িসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি লুট ও অগ্নিসংযোগের কারণে নেই সেবাদনের পর্যাপ্ত সুযোগ।
অভিযোগকারীরাও কম আসছে। এমন পরিস্থিতিতেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৬০ শতাংশ সেবাদান সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে জনগণের আস্থায় ফিরে আসাকেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তাঁরা। গত শুক্রবার থানাটি ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, থানার মূল ফটকে নিরাপত্তায় রয়েছেন চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য। ভবনের ভাঙা ক্ষতগুলো সারিয়ে চকচকে পরিবেশ তৈরি করা হলেও ভেতরের পরিবেশ অনেকটাই প্রাণহীন। ওসির রুমে নেই তেমন কোনো আসবাব। ডিউটি অফিসারসহ দুই-তিনটি চেয়ারে পুলিশ সদস্যের দেখা মেলে।
অন্য চেয়ারগুলো ফাঁকা। কিছু কক্ষও ফাঁকা পড়ে আছে। এ সময় মাত্র একজন অভিযোগকারীর দেখা মেলে। থানাসংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ আগস্ট কিছু দুষ্কৃতকারী এই থানায় হামলা করে ১১টি অস্ত্র ও কিছু গোলাবারুদ লুট করে। থানার ওসির গাড়ি এবং দুটি টহল গাড়িতে আগুন দেয় তারা।
ওসির রুমেও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ওই কক্ষের পাশাপাশি ভবনের একাংশ পুড়ে যায়। এ সময় প্রয়োজনীয় অনেক নথিপত্র পুড়ে গেছে। এ ছাড়া থানায় থাকা কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল ও আসবাবপত্রে আগুন দেওয়া হয়। সম্প্রতি একটি অস্ত্র উদ্ধার হলেও ১০টি অস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেন, অনেক অফিসারের পদ এখনো ফাঁকা রয়েছে। আবার যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে এখন মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারছেন না। ফলে থানা কার্যক্রম চালু হলেও ব্যাহত হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত সেবাদান।ডিউটি অফিসার আরিফ উর রহমান বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোই এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। থানার কার্যক্রম এখন মোটামুটি স্বাভাবিক।’ওসি গাজী শামীমুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অতীতে যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন তাঁদের তো চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়নি। এই অফিসারদের অধীনে অনেকেই সাধারণ ডায়েরি করতে নারাজ। আমি আসার (থানায় যোগদান) পর থেকে ২৪ ঘণ্টা টহলের কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে প্রতিদিন চারটি টহলের গাড়ি চলছে। বাকি অপারেশন কার্যক্রমগুলো ধীরে ধীরে শুরু করছি। একবারেই তো স্বাভাবিক পর্যায়ে আসা সম্ভব নয়। আমাদের কাজের গতি এখন ৬০ শতাংশ হবে।’
আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন
এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন