মালয়েশিয়ায় ৪৯৬ অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। পুসাত বন্দর পুত্র পারমাইয়ে একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বুধবার মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম স্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে অভিবাসন বিভাগ, সুবাং জায়া সিটি কাউন্সিল এবং জেনারেল অপারেশনস ফোর্সের যৌথ অভিযানের সময় জুয়া কেন্দ্রটি ধ্বংস করা হয়।
পুসাত বন্দর পুত্র পারমাইয়ের একটি চার তলা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের তিনটি ইউনিট থেকে পরিচালিত একটি অবৈধ অনলাইন জুয়া কেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অভিযানের পর এক সংবাদ সম্মেলনে অভিবাসন বিষয়ক উপ-পরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে তিনটি ইউনিট স্থানীয় তিন ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত ছিল। অভিযান চালিয়ে পাওয়া ইউটিলিটি বিল রেকর্ডের ভিত্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং নেপালের নাগরিকরা রয়েছেন।
আটকদের মধ্যে বেশিরভাগই মিয়ানমারের। মিয়ানমারের ২৭৫ জন পুরুষ ও ৮০ জন নারী এবং ৩০ জন শিশু, ইন্দোনেশিয়ার ৩৭ জন। বাংলাদেশের রয়েছেন ১৫ জন পুরুষ, পাকিস্তানের ১৩ জন পুরুষ, থাইল্যান্ডের তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী, কম্বোডিয়ার একজন নারী ও দুই শিশু এবং নেপালের ১৪ জন পুরুষ।
তিনি বলেন, জুয়ার কেন্দ বিষয়ক মামলাটি আরো তদন্ত এবং ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুবাং জায়া সিটি কাউন্সিলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তিনটি বাড়িতেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো ছিল। যাতে বাইরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা যায়।
জাফরি এমবোক বলেন, বুধবার রাত ১০টা থেকে ভোর ১টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। ৭৪১ জন বিদেশীকে তল্লাশি করার পর ৪৯৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অভিযানে আটকদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬, ইমিগ্রেশন রুলস ১৯৬৩ এবং মানব পাচার ও অভিবাসন চোরাচালান প্রতিরোধ আইন ২০০৭ এর আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন যে, একই ধরণের যৌথ অভিযান পর্যায়ক্রমে পরিচালিত হবে। বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়া বিদেশীদের বাড়ি ভাড়া বা আশ্রয় না দেয়া বিষয়েু জনসাধারণকে সকর্ত করে দেওয়া হয়েছে।