গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় একদিনে কমপক্ষে ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৪ জন মারা যান দক্ষিণ রাফায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এ খাদ্য সহায়তা আনতে গিয়ে। খবর আল জাজিরার।
গাজার হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার চালানো হামলায় নিহত হন তারা।
রাফায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, জিএইচএফ ত্রাণ শিবিরের একটির সামনে আল-শাকুশ এলাকায় ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ওপর সরাসরি গুলি চালায়। এই ত্রাণ শিবিরগুলোকে জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
শনিবার এই হত্যাকাণ্ড এমন সময় ঘটলো যখন কাতারে যুদ্ধবিরতি আলোচনার অগ্রগতি স্থগিত হয়ে যায়। আলোচনায় গাজা উপত্যকার পুরো জনসংখ্যাকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ইসরাইলি পরিকল্পনার নিন্দা জানানো হয়।
এছাড়া ঘনবসতিপূর্ণ আল–শাতি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে সাত জন নিহত হন।
পাশাপাশি গাজা সিটিতে বোমা হামলায় ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। যার মধ্যে চারজন তুফাহ এলাকার জাফা স্ট্রিটের একটি বাসভবনে চালানো হামলায় মারা যান। ওই হামলায় আরও ১০ জন আহত হন।
চিকিৎসা সূত্রের খবর অনুযায়ী, গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় দুটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে ১৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।
গাজার চিকিৎসকদের মতে, জিএইচএফ শিবিরগুলো থেকে ত্রাণ সহায়তা আনতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫,০০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে অন্তত এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।