প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে এ্যাকশনে যায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিন দফা দাবিতে কাকররাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেয় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। সভা, সমাবেশসহ সবধরনের কর্মসূচি নিষিদ্ধ থাকায় ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্যে আহবান জানায় পুলিশ।
ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি যমুনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলেন। বার বার আহবান করার এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের কাকরাইল মসজিদ থেকে সরে যেতে ১০ মিনিটের সময় বেঁধে দেন।
কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুলিশের আহবানে সাড়া না দিলে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পুলিশ জলকামান থেকে পানি ও কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশসহ আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে আন্দোলনকারীকেও। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মৎসভবনের দিকে সরে যায়।
এর আগে দুপুর ১২ টার আগে শাহবাগ মোড় থেকে যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে আসেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। মিছিলটি কাকরকাইল মসজিদ মোড়ে পৌছলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে তারা অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, যমুনা ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ওই এলাকা ত্যাগ করতে বারবার বলা হলেও তারা সরছিলেন না। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে।