হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মহাসমাবেশ থেকে নতুন দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং আগামী ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে সংগঠনটি।
শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এক মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান।
সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এই মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী। দুপুর ১টা ১১ মিনিটে আমিরের মুনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মহাসমাবেশ থেকে ১২ দফা ঘোষণাপত্র তুলে ধরা হয়। এটি পাঠ করেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক। ঘোষণাপত্রের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিলপূর্বক আলেম-ওলামার পরামর্শক্রমে ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিশন গঠন করা। নারীর সামাজিক উন্নয়নে পশ্চিমা মূল্যবোধ নয় বরং আমাদের নিজস্ব সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকেই বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে।
এছাড়াও আছে সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে এবং ধর্মপ্রাণ গণমানুষের ঈমান-আমল রক্ষার্থে ‘বহুত্ববাদ’ নামক আত্মঘাতী ধারণা থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। এছাড়া ‘লিঙ্গ বৈচিত্রা’, ‘লিঙ্গ সমতা’, ‘লিঙ্গ বৈষম্য’, ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ (বা থার্ড জেন্ডার), ‘অন্যান্য লিঙ্গ’ ইত্যাদি শব্দের মারপ্যাঁচে, ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’ এমন ধোঁয়াশাপূর্ণ শ্লোগানের অন্তরালে এবং অসংজ্ঞায়িত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ (বা ‘ইনক্লুসিভ’) ইত্যাদি শব্দের আড়ালে এলজিবিটি ও ট্রান্সজেন্ডারবাদের স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমাজবিধ্বংসী ও ধর্মবিরুদ্ধ সমকামী বান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠার পায়তারা বন্ধ করতে হবে।
শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচারে গতি আনতে ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার চিহ্নিত দোসরদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে।