সাতকানিয়ায় মব উস্কিয়ে জামায়াত কর্মী হত্যা, আনোয়ারায় নারী ধর্ষণসহ দেশব্যাপী চলমান মবজাস্টিস আটকাতে এবং জননিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ চাই, ‘মব দ্বারা হাঙ্গামা বন্ধ করতে হবে’, ‘দেশব্যাপী নারী ও সংখ্যালুঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’, ‘দেশব্যাপী ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির বিচার করতে হবে’ প্রভৃতি লেখাসম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লা আল সামির সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির আহ্বায়ক পলাশ বখতিয়ার, সদস্যসচিব হাফিজুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেরাব সাদাত ও সজীব মিয়া প্রমুখ।
বক্তব্যে সজীব মিয়া বলেন, জনগণের মনোনয়নের মাধ্যমে উপদেষ্টাদেরকে সরকার পরিচালনা ও সংস্কারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি গত সাত থেকে আটমাস পেরিয়ে গেলেও কোনো সংস্কার হয় নি। বরং দিনে দিনে আমাদের মা-বোনরা নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন। গার্মেন্টস শ্রমিকের আত্মহত্যা, সাতকানিয়ায় জামায়াত কর্মী হত্যা, চট্টগ্রামে ও মৌলভীবাজারে ধর্ষণসহ অনরবত আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ বেড়েই চলছে।’
মেহেরাব সাদাত বলেন, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ৫৭টি ধর্ষণ ও ১৭টি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ এই যে নারীদের প্রতি সহিংসতা আটকাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় মব কর্তৃক হত্যাকান্ড হচ্ছে। এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে আটকাইতে না পারলে পরবর্তীতে আপনি, আমি কিংবা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কোনো সহযোদ্ধাই নিরাপদ নয়। জনগণকে উষ্কিয়ে দিয়ে হত্যা ও গণধর্ষণসহ প্রত্যেকটির দায়ভার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আছে। রাত তিনটা বাজে তিনি গালভরা বক্তব্য দিচ্ছেন। কিন্তু তার কোনো প্রতিফল দেখা যাচ্ছে না। তাই অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণ করতে হবে।’
পলাশ বখতিয়ার বলেন, সবচেয়ে এলার্মিং বিষয় হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আমাদের সহযোগী ছিল, স্বৈরাচার পতনে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের ‘টার্গেট কিলিং’ করা হচ্ছে। দেশব্যাপী এরকম অরাজকতা চলছে। কিন্তু আমরা উল্লেখ্যযোগ্য কোনো ব্যবস্থা দেখছি না।’