মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন

বাড়তে পারে চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম

  • সময়: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ৯.২৬ এএম
  • ৪ জন

ডলারের উচ্চ মূল্য ও নতুন করে ভ্যাট যুক্ত হওয়ায় হার্টের স্ট্যান্ট, চোখের লেন্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে সরঞ্জামের দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানিকারকেরা। একই সঙ্গে ডলারের সঙ্গে চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম সমন্বয় ও পণ্যের ভ্যাট মওকুপ করার দাবি জানিয়েছে তারা।

সোমবার অনুষ্ঠিত মেডিক্যাল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ও অফথামিক সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বৈঠকের এমনটাই জানিয়েছে আমদানিকারকরা।

বৈঠক শেষে অফথামিক সোসাইটি সিনিয়র সহ-সভাপতি আমানুল্লাহ বাদল, বলেন, ‘আমাদের দাবি প্রোডাক্টের (পণ্য) দাম বাড়ানো নয়, ডলারের দামের সাথে সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছি আমরা। এটি না করলে আমাদের পক্ষে ব্যবসা করা কঠিন। ভ্যাট মূল দামের সাথে সমন্বয় করতে হবে। এর আগে এনআরবি প্রাইসের সাথে ভ্যাট সমন্বয় করার কথা বলেছিলো, সেসব ডকুমেন্টস আমরা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে দিয়েছি। ভ্যাট বাড়লে কার্ডিয়াক স্টেন্ট, লেন্সের দাম বাড়াতে হবে এতে রোগীর খরচ বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘এগুলো আমদানী পণ্য। ডলারের সাথে সমন্বয় করতেই হবে। না হলে ঘোষণা না দিয়ে মালামাল আসবে বস্তায় করে। সেগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ করা হবে না। রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৭টি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৪৪ ধরনের কার্ডিয়াক স্ট্যান্টের (হার্টের রিং) দাম দুই হাজার থেকে ৫৬ হাজার টাকা পর্যন্ত কমিয়ে হার্টের রিংয়ের দাম নির্ধারণ করেছিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ১৪ ডিসেম্বর ১২ দেশের ১২৯ ধরণের লেন্সের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। নির্ধারিত দামেই হার্টের রিং ও লেন্স হাসপাতালগুলোকে সরবরাহ করতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।

আমদানিকারকরা বলছে, হার্টের রিং বা চোখের লেন্স সবই আমদানী নির্ভর। সরকার নির্ধারিত দামে মাল বিক্রি করা কঠিন হচ্ছে, ফলে মানহীন মালামাল অবৈধ পথে বাজারে চলে আসছে। এতে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছে।

মেডিক্যাল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি ওয়াসিম, ডলার রেট ১১০ টাকা করে ধরে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আমাদের পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সরকারিভাবে ডলার মূল্য আছে ১২০ টাকা কিন্তু ব্যাংক ১২৫ থেকে ১২৭ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। ডলারের সাথে সমন্বয় রেখে এমআরপি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছি আমরা।

তিনি বলেন, ভ্যাট নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। ফলে দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় থাকবে না। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বলেছে, দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা আছে।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com