শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন

আইএমএফের চাপে সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত

  • সময়: শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫, ৮.৪৬ এএম
  • ৪ জন

রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে একশটির মতো পণ্য ও সেবার ওপর অতিরিক্ত ভ্যাট এবং করারোপের মাধ্যমে সরকার গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন দেশের অর্থনীতিবিদসহ সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)’র কাছে নতি স্বীকার করে দেশের মানুষের দুর্দশার কথা মাথায় না নিয়ে বিভিন্ন পণ্যের ওপর পাঁচ থেকে পনের ভাগ করারোপ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন করে পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি ও শুল্কারোপের ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে। এমনিতেই মানুষ নিত্যপণ্যের চড়া মূল্যের কারণে কষ্টে আছে। সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি আরেক দফা উসকে দেবে। তারা বলছেন আইএমএফ’র শর্ত পূরণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেও, সরকারের উচিত ছিল ভ্যাট ও শুল্ক না বাড়িয়ে বরং করের আওতা বাড়ানো।

বৃহস্পতিবার রাতে একটি অধ্যাদেশ ও একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। এর আগে ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস হয়। মূলত বাংলাদেশকে দেওয়া আইএমএফ’র ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত হিসেবে অর্থবছরের মাঝামাঝি এসে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক-কর বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্যের বিমান ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। পটেটো ফ্লেকস, বিস্কুট, আচার, চাটনি, বিভিন্ন ধরনের পেস্ট, এলপিজি, পাইকারিভাবে আমদানি করা পেট্রোলিয়াম বিটুমিন, ফেরো-ম্যাঙ্গানিজ, ফেরো-সিলিকো-ম্যাঙ্গানিজ অ্যালয়, ফেরো-সিলিকন অ্যালয়, এইচ আর কয়েল থেকে সি আর কয়েল শিট, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, চশমার প্লাস্টিক ফ্রেম এবং ইনডেন্টিং ব্যবসার ভ্যাটের হার আগের ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। কিচেন টাওয়েল, হ্যান্ড টাওয়েল, নন-এসি হোটেল এবং স্থানীয় ব্র্যান্ডের পোশাক পণ্যে ভ্যাট ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

মোটরগাড়ির গ্যারেজ, ডকইয়ার্ড, চলচ্চিত্র স্টুডিও, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী (সিনেমা হল), মেরামত ও সার্ভিসিং, টেইলারিং শপ এবং টেইলার্স, ভবন রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা, সামাজিক ও খেলাধুলাবিষয়ক ক্লাব ইত্যাদির ওপর বিদ্যমান ১০ ভাগের পরিবর্তে পনের ভাগ ভ্যাট বসানো হয়। ওষুধ ব্যবসা, এলপিজি ব্যবসা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।

মোবাইল টকটাইম ও ইন্টারনেট, আমদানি করা ফল, ফলের জুস, পেইন্ট এবং বার্নিশ, চামড়া এবং জুতার কাঁচামাল, ডিটারজেন্ট এবং নন-কার্বনেটেড কৃত্রিম স্বাদযুক্ত পানীয়সহ ৪১টি পণ্য ও পরিষেবার জন্য সম্পূরক শুল্ক ৫০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

কার্বনেটেড ও নন-কার্বনেটেড পানীয়ের ওপর নতুন করে ৩০ এবং ১৫ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী বা আইএসপির ওপরও নতুন করে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কার্যকর হয়েছে।

চারটি স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে নিম্ন থেকে উচ্চ স্তর পর্যন্ত ১০ শলাকা সিগারেটের নতুন দাম হচ্ছে যথাক্রমে– ৬০ টাকা, ৮০ টাকা, ১৪০ টাকা এবং ১৮৫ টাকা। যা এর আগে ছিল যথাক্রমে– ৫০ টাকা, ৭০ টাকা, ১২০ টাকা এবং ১৬০ টাকা। চারটি স্তরেই সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।

ভ্যাট বাড়িয়ে পনের শতাংশ করা হয়, এসি ও নন-এসি হোটেল, সরকারের বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন হোটেল, রেস্তোঁরা ও মদের বার ছাড়া দেশের সব ধরনের রেস্তোঁরা, ডেকোরেটর্স ও ক্যাটার্রস, ডকইয়ার্ড, নির্মাণ সংস্থা, বিজ্ঞাপন সংস্থা, ছাপাখানা, নিলামকারী সংস্থা, কুরিয়ার সার্ভিস, কনসালটেন্সি ফার্ম, ইজারাদার, অডিট অ্যান্ড একাউন্ট ফার্ম, যোগানদার, সিকিউরিটি সার্ভিস, আইন পরামর্শক, পরিবহন ঠিকাদার, যানবাহন ভাড়া প্রদানকারী, আর্কিটেক্ট ইনটরিয়র, ডিজাইনার, গ্রাফিক ডিজাইনার, ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম, টিকিট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, অনুষ্ঠান আয়োজক ও অন্যান্য বিবিধ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর।

আলাদিনের চেরাগ নেই বলেই বাড়ানো হলো শুল্ক : বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে এ সমস্যা সাময়িক। আসলে এমন কোনো আলাদিনের চেরাগতো নেই যে, সুইচ দিলেন আর কালকেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে। তবে বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ বাণিজ্য উপদেষ্টার এমন ঘোষণার বারো ঘণ্টার মধ্যেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত এলো।

কী বলছেন অর্থনীতিবিদ ও সাধারণ ক্রেতা-ভোক্তারা : এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ আমার দেশকে বলেন, কেন অর্থবছরের মাঝপথে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে এ ব্যাপারে সরকারের ব্যাখ্যা থাকা উচিত। কোন হিসাবের ভিত্তিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। জনগণের আন্দোলনের ফসল হিসেবে গঠিত সরকারের অবশ্যই জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা দরকার।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ আমার দেশকে বলেন, এমনিতেই মানুষ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আছে। এখন নতুন করে ভ্যাট ও করের হার বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে এতে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।

আইএমএফ’র চাপের মুখে সরকার ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনবিআরের কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং জিডিপির তুলনায় করের অনুপাত বৃদ্ধিতে আইএমএফ’র শর্ত রয়েছে। তবে এটাও ঠিক সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়াতে হবে। কিন্তু যেসব পণ্য বা সেবার ওপর এখন ভ্যাট রয়েছে সেসব পণ্যের উপর নতুন করে ভ্যাটের হার বৃদ্ধির ফলে মানুষের কষ্ট বেড়ে যাবে। তিনি ভ্যাটের হার না বাড়িয়ে ভ্যাটের আওতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রয়োজনে সরকার এ ব্যাপারে একটি কমিশন গঠন করতে পারে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আমার দেশকে বলেন, সরকার ১০০টির মতো পণ্যে শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। শুল্ক বাড়ানোর ফলে এর প্রভাব শেষ পর্যন্ত ভোক্তার উপর গিয়েই পড়বে। এতে মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর সবচেয়ে পড়বে। এমনিতেই মানুষ কষ্টে রয়েছে, এরপর কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, আইএমএফ’র চতুর্থ কিস্তির ছাড়ের পাশাপাশি নতুন করে সরকার আরও ঋণ সহয়তা চেয়েছে। এখন এ ঋণ সহায়তা পেতে হলে শর্তপূরণ করতে হবে। ঋণ পেলে সরকারের আমদানি সক্ষমতা বাড়বে এতে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে এবং মূল্যস্ফীতি কমে আসতে পারে। একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তিনি মনে করেন, সরকারের প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ালে সাধারণ মানুষের উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

এনবিআরের সাবেক সদস্য ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী আমার দেশকে বলেন, অর্থ বছরের মাঝপথে এভাবে প্রায় একশটি পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট ও শুল্কহার বাড়ানোর ঘটনা নজিরবিহীন। সরকারের এ সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে। ভ্যাটের হার না বাড়িয়ে ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি ও কর ফাঁকি রোধ না করে সরকার খুব দ্রুত আয় বাড়াতে ভ্যাটের হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন- কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, অর্থবছরের মাঝামাঝি এভাবে ট্যাক্স বাড়ানো নজিরবিহীন। সরকার যদিও দাবি করছে অত্যাবশ্যক পণ্যের ওপর বাড়ানো হয়নি, কিন্তু শুধু সিগারেট বাদ দিলে বাকি সবই মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে যুক্ত।

এতে করে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে এবং তা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেবে। শেষ পর্যন্ত এটি মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, মানুষ ইতোমধ্যেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে। তাই অর্থবছরের মাঝামাঝি এসে এভাবে ট্যাক্স বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর সরকারের এমন ভ্যাট এবং করারোপের সিদ্ধান্তকে হঠকারী বলে মনে করেন বাজারের সাধারণ ক্রেতারা। গতকাল সারাদিনই এ বিষয়টি ছিল মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এম এ নোমান একজন সাংবাদিক। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে কীভাবে নিচ্ছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বেশিরভাগ উপদেষ্টাই সাবেক আমলা বা ধনী শিল্পপতি।

যাদের সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। ধনী শিল্পপতিদের কাছে কোন পণ্যের দাম কী হলো তাতে কিছুই যায় আসে না। তারা সাধারণ মানুষের কাছে কখনোই ছিলেন না। ফলে আমরা তাদের কাছ থেকে জনদুর্ভোগ কমবে এমন কিছু সিদ্ধান্ত আশা করতে পারি না।’

রাজধানীর মণিপুরী পাড়ার বাসিন্দা এমরানা আহমেদ নামের একজন গৃহিণী আমার দেশকে বলেন, বাজারে সবকিছুরই দাম বেশি। এ কারণে বাচ্চাদের সাধারণ চাহিদাও মেটাতে পারছি না। জীবনের অনেক প্রয়োজনকে ছোট করে আনতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আবার সরকার নতুন করে ভ্যাট বাড়ানোর কারণে আমাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে আরও সংকটের মুখে ফেলে দেবে। দরিদ্র লোক আরও বেশি দরিদ্র হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মূল্যস্ফীতি আরও উসকে দেবে : হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন সেবা ও পণ্যের ওপর সরকারের নতুন ভ্যাট ও শুল্কারোপ দেশের বিদ্যমান চড়া মূল্যস্ফীতিকে আরেক দফা উসকে দিতে পারে। বিদায়ী বছরের পুরো সময় দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাপে ছিল। এ সময়ে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বেশি ভুগছে।

গ্রামীণ এলাকায় ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শহর অঞ্চলের তুলনায় বেশি ছিল। বিবিএস জানিয়েছে, নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা গত সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এর আগে চলতি অর্থবছরের গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠেছিল। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আর শহরাঞ্চলে ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত গোটা বাজারেই প্রভাব ফেলবে এবং উসকে দেবে মূল্যস্ফীতিকে।

বাড়ছে গ্যাসের দামও : এদিকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে। গত ৬ ডিসেম্বর গ্যাসের দাম বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের শিল্প উৎপাদনে ধস নামার পাশাপাশি নতুন করে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে কর ফাঁকি রোধ না করে ভ্যাট বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর কৌশলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বেড়ে যাবে।

বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে পড়বেন। যদিও সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ নতুন করে ভ্যাট বাড়ানোর কারণে জনজীবনে তার প্রভাব পড়বে না বলেই মন্তব্য করেছেন।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com