বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন

ডিসেম্বরে শীতের মৌসুমেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৯২%

  • সময়: সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২.৪৩ পিএম
  • ৮ জন

দেশের গড় মূল্যস্ফীতি এখনও দুই অঙ্কের উপরে রয়েছে। শীতের মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও খাদ্য মুল্যস্ফীতি এখনো ১৩ শতাংশের কাছাকাছি। ডিসেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। একই সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৯২ শতাংশে রয়েছে।

সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত ভোক্তা মূল্য সূচক বা সিপিআইয়ে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশের অর্থ হল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যে পণ্য টাকা কিনতে হয়েছিল ১০০ টাকায় সেটি এ বছর কিনতে হয়েছে ১১০ টাকা ৮৯ পয়সায়।

দেশে কয়েক মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি একটি শঙ্কার পর্যায়ে রয়েছে। শীতের মৌসুমেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বাজারে শুধুমাত্র পচনশীল কাঁচা পণ্যের দামই কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম একেবারেই নাগালের বাইরে রয়েছে।

চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের নানা পদক্ষেপ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে নীতি সুদহার অনেক বাড়িয়েছে। কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলে দফায় দফায় ঋণের সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৫ থেকে বাড়িয়ে উন্নীত করা হয় ১০ শতাংশে। ব্যাংক ঋণের সুদহারও সর্বোচ্চ ৯ থেকে বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় ১৬ শতাংশে ঠেকেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুদহার বৃদ্ধির প্রভাবে শিল্প,সেবাসহ সব খাতের পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ডলারের বিনিময় হার। এ কারণে বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। সুদহার কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আসতে বেশ কয়েকবার তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের কথা শোনেনি। এ সুযোগে ব্যাংকগুলো দফায় দফায় সুদহার বাড়িয়ে নিজেদের মুনাফার পাল্লা ভারী করেছে।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com