২০২৪ সাল শেষ হতে আর একদিন বাকি। জানুয়ারি থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সোনার বাজার ছিল অস্থির। এ বছর রেকর্ড পরিমাণ ৬২ বার সোনার দাম পরিবর্তিত হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বলছে, শেষ হতে যাওয়া বছরটিতে সোনার দাম বেড়েছে ৩৩ বার, আর কমেছে ২৮ বার।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বাজুস।
বাজুসের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৪ সালের শুরুতে জানুয়ারির ১৮ তারিখ ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪০ টাকা করা হয়। অবশ্য পরদিন ১৯ জানুয়ারি আবার দাম কমিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকায় নামানো হয়।
জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪০ টাকায় শুরু হওয়া সোনার দাম ২৪ ডিসেম্বর সর্বশেষ পরিবর্তন হয়। ওই দিন দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৮ টাকায়। অর্থাৎ এক বছরে সোনার দাম বেড়েছে ২৬ হাজার ৮৯৮ টাকা।
যখনই সংকট, ডলারের মূল্য, তেলের দাম, মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যস্ফীতি, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার মূল্য বাড়িয়ে দেয় তখন বাংলাদেশেও এর দাম বাড়ে। ক্রুড অয়েল বা অপরিশোধিত তেল ও সোনা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। নানা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলার যেমন থাকে, তেমনি সোনাও গচ্ছিত থাকে।
সোনা একটি পণ্য কিন্তু মূল্য পরিশোধেও এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তেলের দাম বাড়লেও সোনার দাম বাড়ে। আবার উল্টোটাও হয়। মুদ্রায় অস্থিরতা থাকলে প্রায়ই অপরিশোধিত তেলের মূল্য সোনায় পরিশোধ করা হয়। ক্রুড অয়েল উৎপাদনকারী দেশগুলো এটা চায়, যখন তারা সামনে ডলারের মূল্য পড়ে যাবে কি-না সে বিষয়ে শঙ্কিত বোধ করে। তেলের দাম বাড়লে দ্রব্য মূল্য বাড়ে, যার ফলে শঙ্কিত হয়ে সোনা মজুত রাখার প্রবণতা বাড়ে, তখন দামও বাড়ে।