শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা সংবিধান বাতিল করার চেষ্টা দুঃখজনক মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন আমাদের কষ্ট লাগে।’
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে আনন্দ ভবনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সামনের সারিতে থেকে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধে অনেক বন্ধুবান্ধব শহীদ হয়েছেন। শহীদের রক্তের বিনিময়ে লেখা সংবিধান নিয়ে এমন মন্তব্য করা কাম্য নয়। ওই সংবিধানে যদি খারাপ কিছু থাকে, নিশ্চয়ই সেটা বাতিলযোগ্য। তবে সংবিধান রাফ খাতা নয়, যে ছুঁড়ে ফেলা হবে। যদি নতুন কোনো সংবিধান লিখতে হয়, তখন পুরোনো সংবিধান বাতিলের আগে সন-তারিখ উল্লেখ করে তারপর তা বাতিল করতে হবে।
তিনি বলেন, কবর দিয়ে দেওয়া, মেরে ফেলা, কেটে ফেলা, শব্দগুলো ফ্যাসিবাদীদের। তাই এ শব্দগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যবহার না করাই উত্তম। আর এ বিষয়টি নিয়ে ছাত্ররা যাতে ভুল না বোঝে, সে আহ্বান জানান তিনি।
পতিত স্বৈরাচারের প্রেত্মাতাদের প্রশাসনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী সংস্কার করতে চায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান থেকে বারবার বলেছি, হাসিনা চলে গেলেও তার প্রেত্মাতারা থেকে গেছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে সচিবালয়সহ সর্বত্র। আগুন লাগার মাত্র দু-তিনদিন আগে সচিবালয়ে সাবেক বাকশালী আরেক সচিবকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় এ সরকার। এখন সেসব বাকশালীকে নিয়ে সংস্কার করতে চাইছেন এ সরকার। আর এসব কাজের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবার ফিরিয়ে আনার রাস্তা করে দেওয়া হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্ন এখন জনমনে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভির আহমেদ রবিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল।