বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-আইডিএ) মধ্যে রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর আওতায় সংস্থাটি জন্য ৪০ কোটি ডলার বা প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ফরিদ আজিজ এবং আইডিএ’র পক্ষে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়ন করতে যাওয়া আরইউটিডিপি প্রকল্পটি ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো- পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমসহ মৌলিক নগর পরিষেবাগুলোর পরিবৃদ্ধি করা। এ ছাড়া নগরগুলোর সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং নিজস্ব উৎস থেকে আয় বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করা। আরও আছে- পরিকল্পনা প্রণয়ন, অর্থায়ন, বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম কার্যকর এবং টেকসইভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নত নগর-আবকাঠামো ও সুবিধাদি নির্মিত হবে এবং এর ফলে ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি করপোরেশনে বসবাসরত ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।
চুক্তি অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রকল্পের ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের মধ্যে ৩০ কোটি ডলার সমপরিমাণ এসডিআর ২২ কোটি ৭৭ লাখ ডলার স্পেশাল প্রডিং রাইটস হিসেবে দেবে। এটি সর্টার ম্যাচুরিটি লোন (এসএমএল)। ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (রেয়াত কাল) ১২ বছরে পরিশোধযোগ্য এবং অনুত্তোলিত অথের্র ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে।অবশিষ্ট ১০ কোটি ডলার স্কেলআপ উইন্ডো থেকে গ্রহণ করা হবে, যা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক কমিটমেন্ট ফি শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ দিতে হবে। এই ঋণ ৪ (চার) বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে।