অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা। সুষ্ঠু ক্রীড়াঙ্গন গঠনের জন্য তৈরি করা হয় সার্চ কমিটি; যারা বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন অ্যাডহক কমিটির সুপারিশ করছে। যার ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার নয়টি ক্রীড়া ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। হকির ১৮ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের।
ক্যাসিনোকাণ্ডে বিতর্কিত এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মুমিনুর হক সাঈদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ সোচ্চার ছিলেন সাবেক তারকা হকি খেলোয়াড়রা। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেকেই ভেবেছিলেন এবার হকিতে প্রাণ ফিরবে। কিন্তু অ্যাডহক কমিটিতে একপক্ষের লোকজন দেখে হতাশ হয়েছেন অনেকেই।
১৮ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করলেও রাখা হয়নি দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের কোনো কর্মকর্তাকে। এ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন হকি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের স্থায়ী সদস্য সাজেদ এ এ আদেল।
তিনি সরাসরি অ্যাডহক কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘হকির এই কমিটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি যোগ করেন, ‘১৮ সদস্যের কমিটির ৯৯ ভাগেরই বর্তমানে হকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। যাদের কমিটিতে নেওয়া হয়েছে তারা ভালো মানুষ, তবে ভালো সংগঠক নন। আড়াই মাস কাজ করে সার্চ কমিটি হকি ধারণ করেন এমন কাউকেই পেলেন না?’
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বশেষ নির্বাচনে কাউন্সিলর ছিলেন এমন একজন মাত্র জায়গা পেয়েছেন এই কমিটিতে। সব ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব নেই। কমিটিতে আছেন শুধু আবাহনী ও মেরিনার্স ঘরানার কয়েকজন। অথচ অন্যতম সেরা ক্লাব মোহামেডানের একজনও নেই।’
প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কর্তাদেরও উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাজেদ এ এ আদেল, ‘দেশের হকির প্রাণ প্রিমিয়ার লিগ। অথচ ক্লাবগুলোর বেশির ভাগকেই উপেক্ষা করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে প্রিমিয়ার লিগ খেলবে কারা? কিছু নিষ্ক্রিয় মানুষকে খুঁজে এনে কমিটি করা হয়েছে। আমি মনে করি, এই কমিটি হকি অঙ্গনে কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। যারা এই কমিটি তৈরি করেছে তারা হকির ভালোর পরিবর্তে আসলে খারাপই করলেন।