চলতি বছরের এইচএসসি বিএম-ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৪ হাজার ৯২২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এ পরীক্ষায় ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এইচএসসি বিএম-ভোকেশোনাল পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ। গতবছর এইচএসসি বিএম-ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৬ হাজার ৯৭৭ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।
এবারের পরীক্ষায় ১৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন। এছাড়া ঘরে বসেও জানা যাবে ফল। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত দেওয়া হল-
১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যেভাবে জানা যাবে
পরীক্ষার ফল পাওয়ার সবচেয়ে পুরনো পদ্ধতি হচ্ছে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে। ফল প্রকাশের দিন বেলা ১১টার পরে শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজ বা স্কুলে গিয়ে ফল প্রিন্টআউটের জন্য অনুরোধ করতে পারে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে এক্সেস দেওয়া হবে যার মাধ্যমে তাদের ছাত্রদের রেজাল্ট দেখতে পাবে এবং সহজেই প্রিন্ট করে নোটিশ বোর্ডে ফলগুলো ঝুঁলিয়ে দিতে পারবে। এতে শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের ফল জানতে পারবে।
২. অনলাইনে পাবেন এএইচএসসির ফল
যদি আপনি পরীক্ষার ফল অনলাইনে দেখতে চান তাহলে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর যেকোনো একটিতে প্রবেশ করতে হবে। যেখানে নিদিষ্ট কিছু তথ্য দিয়ে প্রবেশ করে আপনার মার্কশীট দেখতে পারবেন। বিশেষ করে নিদিষ্ট স্থানে আপনার এইচএসসির রোল নাম্বার এবং এইচএসসির রেজিস্টেশন নাম্বার দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। পরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড নির্বাচন করুন এবং আপনার পরীক্ষার বছর (২০২৪) লিখুন। এরপর আপনার ফল দেখতে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
নিচের ওয়েবসাইটগুলোতে ক্লিক করে ফলাফল জানতে পারবেন
https://www.dhakaeducationboard.gov.bd/site/
http://www.educationboardresults.gov.bd/
https://eduboardresults.gov.bd/
৩. এসএমসের মাধ্যমে জানা যাবে ফল
ইন্টারনেট ছাড়াই এই পদ্ধতিতে ফল জানতে পারবেন। সরকারি উদ্যোগে সহজ পদ্ধতিতে রেজাল্ট জানার ব্যবস্থা করেছে। যেসব এলাকায় ইন্টারনেট বহুল ব্যবহত হয়ে উঠেনি এই পদ্ধতির মাধ্যমে ফল জেনে থাকে।
প্রার্থীরা অনলাইনে বা মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে হলে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
উদাহরণ—HSC DHA 123456 2024 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফলাফল।
নিচে সব শিক্ষাবোর্ডের আলোকে এসএমএস পাঠানোর ফরমেট দেওয়া হলো
Board Name Format
Dhaka Board HSC DHA 227755 2024
Chittagong Board HSC CHI 227755 2024
Rajshahi Board HSC RAJ 227755 2024
Comilla Board HSC COM 227755 2024
Jessore Board HSC JES 227755 2024
Barisal Board HSC BAR 227755 2024
Sylhet Board HSC SYL 227755 2024
Dinajpur Board HSC DIN 227755 2024
Mymensingh Board HSC MYM 227755 2024
Madrasah Board ALIM MAD 227755 2024
Technical Board HSC TEC 227755 2024
এএইচএসসি ফলে যেভারে গ্রেডিং সিস্টেম করা হয়
এইচএসসি পরীক্ষায় গ্রেড পয়েন্ট গড় (জিপিএ) ওপর ভিত্তি করে গ্রেডিং সিস্টেম হয়ে থাকে। গ্রেড নির্ভর করে প্রতিটি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ওপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ A+ থেকে F (ফেল) গ্রেড প্রদান করে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য সামগ্রিক GPA হল বিভিন্ন বিষয়ে অর্জিত সমস্ত গ্রেডের গড়।
যেভাবে গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ হয়
প্রথমত, প্রতিটি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে সাধারণত নিচের গ্রেডিং সিস্টেম অনুসরণ করা হয়:
দ্বিতীয়ত, প্রতিটি বিষয়ের জন্য প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্ট (GP) নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি বিষয়ের গ্রেড পয়েন্ট আলাদাভাবে গাণিতিক পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হয়।
তৃতীয়ত, প্রতিটি বিষয়ের গ্রেড পয়েন্ট যোগ করে মোট গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়।
শেষ ধাপে, মোট গ্রেড পয়েন্টকে পরীক্ষায় দেওয়া বিষয়গুলোর সংখ্যায় ভাগ করা হয়।