ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার ক্ষীণ সমীকরণ টিকে ছিল। থাইল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য ১০ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো তাদেরকে। অথবা, ১১ ওভারের মধ্যে করতে হতো ১৭২ রান। তবে ১০.৫ ওভারের মধ্যে ১৬৮ রান করে জয় নিশ্চিত করায় নেট রানরেটে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকায় ক্যারিবিয়ানদের বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না। ক্যারিবিয়ানদের স্বপ্ন ভঙ্গের আগে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরে এমন জটিল সমীকরণের তৈরি করেছিল।
১১তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান আর বিশ্বকাপে খেলতে হলে তাদেরকে করতে হতো ১৬ রান। সমীকরণটা বেশ সহজই ছিল ক্যারিবিয়ানদের জন্য। এমন সমীকরণে শুরু করে প্রথম দুই বলে মাত্র ১ রান নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ চার বলে দরকার ছিল ১৫ রান। তৃতীয় বলে ৪ ও চতুর্থ বলে ১ রান নেওয়ায় শেষ দুই বলে জয়ের জন্য ৫ ও বিশ্বকাপে যেতে তাদের দরকার ছিল ৯ রান। পঞ্চম বলে ৪ হাঁকানোর পর শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার পথটা পরিস্কার করতে পারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে বসেন স্টেফনি টেইলর। তাতে জয় নিশ্চিত করতে পারলেও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হারিয়ে বসে। ফাননিতা মায়ার করা বলে টেইলর চার হাকানোর জন্য ব্যাট চালান। কিন্তু বল বেশি উপরে ওঠায় শেষ পর্যন্ত সেটা ছক্কায় পরিণত হয়। তাতে স্বপ্নভঙ্গ হয় ক্যারিবিয়ানদের।
নেট রান রেটে বাংলাদেশের (+০.৬৩৯) চেয়ে ক্ষুদ্রাংশের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের (+০.৬২৬) বিশ্বকাপে খেলা হলো না তাদের।
এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে রিতু মনি (৪৮) ও ফাহিমা খাতুনের (৪৪) ব্যাটে ভর করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রানে থামে বাংলাদেশ। জবাবে, ৬২ বল আগে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের শুরুর তিন ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। তাতে নিগার সুলতানা জ্যোতি-নাহিদা আক্তারদের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন প্রায় ক্ষীণ হয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত নেট রানরেটে ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।