ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরইমধ্যে উত্তরের বেইত লাহিয়ার দুটি বাড়িতে বিমান হামলায় ৭৫ জন নিহত হয়েছেন।
উত্তর গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় এই বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি হামলার ঘটনায় এখনো অনেকে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধার স্থানীয় লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষুধা ও দুর্ভোগ চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় পৌঁছেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৩৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৭০ জন। এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।