চট্টগ্রামের পর এবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহের গাড়িতে চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ এ অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করেন।
এরআগে বুধবার সন্ধ্যার দিকে হাসনাত ও সারজিসের গাড়িবহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তাদের গাড়িবহরে ১২টি মোটরসাইকেল, দুটি কার ও একটি পাজেরো ছিল।
দুর্ঘটনার পর সেই ট্রাকচালককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আটক ট্রাকচালকের নাম মুজিবর রহমান (৪০)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর গ্রামে।
ট্রাকচালককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই হানিফ বলেছিলেন, ‘এখন ট্রাকচালক এবং হেলপারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় দুই সমন্বয়ক অক্ষত রয়েছেন।
লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে চট্টগ্রাম মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম।
দাফনের পর অ্যাডভোকেট সাইফুলের কবর জিয়ারত করেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী।
আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় দুইটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফ সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে ওই জানাজায় অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।