হাসিনা সরকারের পতনের পর দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ এখন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দাবি যতটা না যৌক্তিক, এর চেয়ে পতিত সরকারের চক্রান্ত বেশি ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন অনেকে। মূলত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পিতভাবে মাঠে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও নাশকতা করা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, প্রতিটি আন্দোলনের মধ্যে ভিন্ন চরিত্র প্রকাশ পাচ্ছে। কিছু হলেই সড়ক অবরোধ, এমনকি ইদানীং রেললাইনও অবরোধ করা হচ্ছে। বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে সবকিছু ধ্বংস করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, দাবি আদায়ে এসব আন্দোলনের মধ্যে পতিত আওয়ামী সরকারের প্রশিক্ষিত কর্মীরা ঢুকে পড়ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এ চক্রের আসল উদ্দেশ্য দাবি আদায় নয়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলে আওয়ামী লীগকে সদলবলে ফিরিয়ে আনা। এককথায় বলা যায়, আন্দোলনের লেবাসে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের দোসররা প্রতিটি আন্দোলনে ঢুকে পড়ে ভয়াবহ নৃশংসতা চালাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রতিটি দাবি আদায়ের প্রথম ধাপ হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে যথানিয়মে দাবিনামা পেশ করা। এতে কাজ না হলে আলোচনা-সমঝোতার মধ্য দিয়ে বাস্তবভিত্তিক সমাধানে পৌঁছানো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, দাবি আদায়ের নামে প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ এবং এরপর ভাঙচুর-সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। এসব ঘটনা স্বাভাবিক বা বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। সব সুপরিকল্পিত। সবকিছুর মধ্যে ঢাকাকে অচল করে দেওয়ার ছাপ। এ অবস্থায় সরকার যদি তার শত্রুপক্ষ এবং তাদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এ পরিস্থিতি দিনদিন আরও বাড়বে এবং তা একটি সুনির্দিষ্ট কক্ষপথে অগ্রসর হবে। যার পরিণাম মোটেও ভালো হবে না। দেশে অরাজক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফ্যাসিস্টরা ফের পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রায় চার মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে ছোট-বড় মিলে তিন শতাধিক আন্দোলন হয়েছে। বেশির ভাগ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ হাসিনা সরকারের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধন স্পষ্ট হয়েছে। এছাড়া গত দেড় দশকে বঞ্চিত দাবি করে একটি অংশও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরে পদ-পদবি ও সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। তবে জনভোগান্তির সব আন্দোলন শক্ত হাতে দমনের কথা বলছেন বিএনপিসহ সংশ্লিষ্টরা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশ ছাড়ার কয়েকদিনের মধ্যেই আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ বড় বড় নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশ ছাড়তে শুরু করেন। যারা দেশে ছিলেন, তারা আত্মগোপনে চলে যান। ছাত্র-জনতার আহ্বানে ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। দেখা যায়, নতুন সরকারকে সহযোগিতা না করে নানা দাবি আদায়ে মাঠে নেমে পড়ে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে নানা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তুচ্ছ দাবি আদায়েও রাজপথ অবরোধ করে সরকারকে জিম্মি করাসহ জনভোগান্তি অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী।
আন্দোলনের ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর উদ্দেশ্যমূলক উল্লেখযোগ্য আন্দোলনের মধ্যে রয়েছে সচিবালয়ের সামনে দাবি আদয়ের নামে আনসারদের একধরনের বিদ্রোহ, বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধের দাবিতে দফায় দফায় পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন, ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ; পরীক্ষা না দিয়ে অটোপাশ; শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অস্ত্র হাতে আন্দোলন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর; তেজগাঁও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ; চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে রোড ব্লক; সড়ক অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অব্যাহত আন্দোলন প্রভৃতি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের কিছু আন্দোলনের যৌক্তিকতা থাকলেও বেশির ভাগ আন্দোলনের ভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বারবার এসব আন্দোলনের মধ্যে আন্দোলনকারীদের বেশ ধরে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুগান্তরকে বলেন, অবৈধ উপায়ে অঢেল অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা সেসব টাকা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের অশান্তি করছে। এর কারণ হলো, একসময় মানুষ বাধ্য হয়ে যেন বলে আগেই তো ভালো ছিলাম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সেই চক্রান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসাবেই যেখানে-সেখানে রাস্তা অবরোধ ও আন্দোলনের নামে মানুষকে ভোগান্তি দেওয়া হচ্ছে। এর পেছনে প্রশাসনে থাকা স্বৈরাচারের ইন্ধনও রয়েছে। অবিলম্বে ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
আইনজীবী তাসমীর উদয় বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুর দিকে পতিত সরকারের সহযোগীদের বিচার ও পদত্যাগের দাবি থাকলেও ধীরে ধীরে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধারে আন্দোলনে নেমে পড়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী। তারা সরকারকে জিম্মি করে জোরজবরদস্তির মাধ্যমে দাবি আদায়ে তৎপরতা চালায়। ব্যক্তিগত পদ-পদবি লাভ ও পদোন্নতি, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ, চাকরি সরকারীকরণসহ যৌক্তিক-অযৌক্তিক ও তুচ্ছ দাবি আদায়ে সরকারকে জিম্মি করতে শুরু করে বিভিন্ন মহল। সরকারও চাপে পড়ে শুরুর দিকে বহু দাবিধাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়। সেই সুযোগ নিয়ে এখন তুচ্ছ দাবি আদায়ে নৈরাজ্য করা হচ্ছে। ১৭ আগস্ট পরীক্ষা ছাড়া অটোপাশসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনেসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আন্দোলনে নামে এইচএসসি শিক্ষার্থীরা। ২০ আগস্ট অটোপাশের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে এইচএসসি শিক্ষার্থীরা। ২১ আগস্ট গাজীপুরে বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামে বেক্সিমকোসহ ৬ কারখানার কর্মীরা। ২৫ আগস্ট জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেন সাধারণ আনসার সদস্যরা। ওইদিন তাদের সরে যেতে বললে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সঙ্গে আনসারদের সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এর আগে এক সপ্তাহ ধরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে ধারাবাহিক আন্দোলন করেন আনসার সদস্যরা। মূলত আনসারদের আন্দোলন থেকে নেপথ্য ইন্ধনের বিষয়টি সামনে আসে। ২৫ আগস্ট ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আনসারদের আচরণে মনে হয়েছে, তারা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে রাস্তায় নেমেছিল। তারা একদিনের মধ্যেই জাতীয়করণের একদফা দাবি আদায়ে সচিবালয়ের সামনের রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেয়। ওইদিন সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ের ভেতরে জিম্মি হয়ে পড়ে। তাদের বোঝানো হলেও রাস্তা না ছেড়ে ঔদ্ধত্ব আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতা এক হয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়।
সেপ্টেম্বরে একশর কাছাকাছি ছোট-বড় আন্দোলন হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীর। তারা সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দিলে আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। ১১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। সেপ্টেম্বরে ছয় দফা দাবিতে রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে অচল করে দেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরে জড়িতদের বিচার দাবিতে সায়েন্সল্যাবে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অটোপাশের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। অক্টোবর ও নভেম্বরেও দেড় শতাধিক আন্দোলন হয়েছে। ১৮ অক্টোবর তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অবরোধে পুরো ঢাকা শহর অচল হয়ে পড়ে এবং দেশের বহু অঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তারা রেলের কোচ ভাঙচুর করে। এতে শিশুসহ অনেকে আহত হন। তাদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছিলেন। ২০ অক্টোবর সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের সংঘর্ষে সায়েন্সল্যাব অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ২১ অক্টোবর রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। তারা মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করেন। ওইদিন গাজীপুরে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক টানা ছয়দিন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। ২২ অক্টোবর জুরাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯ নভেম্বর রাজধানী থেকে তিনদিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর প্রতিবাদে চালক পরিচয়ে আন্দোলনে নেমে রাজধানী অচল করে দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার পর্যন্ত টানা আন্দোলন চলে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যবসায়ী ও স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা পর্দার আড়ালে থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনে অর্থের জোগান দিচ্ছেন। তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব এবং অর্থ দিয়ে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে এক আন্দোলনকারী নিজেকে ছাত্র পরিচয় দিয়ে রিকশা চালাতে এসেছেন-এমন দাবি করেন। পরে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি ছাত্রলীগের কর্মী। তার নাম আশরাফুল খান। তিনি খিলক্ষেত ৪৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহসভাপতি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানে তার থাকার ছবি প্রকাশিত হয়েছে। বাস্তবে এরকম আশরাফুল একজন নন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীদের হাজার হাজার নেতাকর্মী সুপরিকল্পিতভাবে এসব আন্দোলনে ইন্ধন দিচ্ছেন।
দলীয় পরিচয় গোপন করে আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে সহিংসতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক যুগান্তরকে বলেন, চালকরা রিকশার মালিক-এমন সংখ্যা খুবই কম। এ সংখ্যা ৫-৭ শতাংশ হতে পারে। তবে রিকশাচালকদের বর্তমান আন্দোলনের নেপথ্যে সাবেক আওয়ামী সরকারের ইন্ধন থাকতে পারে। কেননা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা এতদিন রিকশার মধু ভোগ করেছে। রিকশাকে শৃঙ্খলা ফেরাতে তারা সরকারকে বেশকিছু সুপারিশ করবেন।
ঢাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব মোহাম্মদ হানিফ খোকন যুগান্তরকে বলেন, আন্দোলনের আড়ালে একটি গোষ্ঠীর বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং ব্যর্থ প্রমাণের অপচেষ্টা রয়েছে। এ বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, জনগণের ভোগান্তি হয়-এমন যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান। আন্দোলনের নেপথ্যে কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।