১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এক সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
মুক্তিযুদ্ধ ঘিরে পাকিস্তানি বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো দুঃখ প্রকাশ করেনি দেশটি।
এবার পাকিস্তান ‘একাত্তরের প্রশ্নটির’ সমাধান চায়। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগোযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামকে আলোচনার প্রস্তাবও দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ।
রোববার সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এ প্রস্তাব দেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমদ মারুফ বলেন, ‘আমরা ১৯৭১-এর প্রশ্নটির সমাধান করতে চাই। কিন্তু গত সরকার (আওয়ামী লীগ) আমাদের আলোচনার কোনো সুযোগ দেয়নি এবং ইচ্ছা করেই ৭১ ইস্যুটাকে জিইয়ে রাখত। চাইলে বহু আগেই এটির সমাধান করা যেত। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী।’
জবাবে উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ১৯৭১ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আওয়ামী লীগের আদর্শে ১৯৭১ ছিল ইতিহাসের শেষ অধ্যায়। কিন্তু আমরা মনে করি, এটি ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। ১৯৪৭ বা পাকিস্তান আন্দোলন ছাড়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হতো না। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে ৭১-এর প্রশ্নটির সমাধান করতে চাই।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আমাদের পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে যে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী।’
সূত্র: যুগান্তর