মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গোবিন্দল এলাকায় প্রায় এক যুগ আগে মিছিলে পুলিশের গুলিতে ৪ জন গ্রামবাসী নিহতের ঘটনায় সাবেক এমপি কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে।
মামলায় সিংগাইর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তৎকালীন মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, ডিবি পুলিশের একাধিক পরিদর্শক, ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৬০ জনসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।
দীর্ঘ ১১ বছর সাত মাসের বেশি সময়ের পর গত ৮ অক্টোবর গোবিন্দল গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৫০) এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বলধরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খান, সহ-সভাপতি রমজান আলী চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান ওরফে ভিপি শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, সিংগাইর পৌর মেয়র আবু নঈম মো. বাশার, পৌর কমিশনার আব্দুস সালাম খান, সমেজ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমেজ উদ্দিনসহ ৫২ জন।
পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন- তৎকালীন দায়িত্বে থাকা মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিংগাইর থানার এসআই আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেনসহ ৩৮ জন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিগত ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় গোবিন্দল বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীসহ কিছুসংখ্যক পুলিশ টহল করছিল। এ সময় কিছু সংখ্যক মুসল্লির একটি মিছিল সিংগাইরের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা প্রদান করলে উত্তেজনাকরপরিস্থিতির সৃষ্টি হলে মিছিলকারীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের উল্লেখিত সন্ত্রাসী কর্মীরা বিভিন্ন প্রকার প্রাণনাশক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় পুলিশের পোশাক পরিধান করে বিনা উস্কানিতে নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। নিহতের মধ্যে মামলার বাদীর ভাই মাওলানা নাসির উদ্দীন ছিলেন।