শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন

অবশেষে ‘রিসেট বাটন’ ব্যাখ্যা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সহকারী

  • সময়: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৩.৪৩ পিএম
  • ২০ জন

সোস্যাল মিডিয়ায় বহুল চর্চিত শব্দযুগল ‘রিসেট বাটন’। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মুখ থেকে উচ্চারিত এই শব্দযুগল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

অবশেষে রিসেট বাটনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, রিসেট বাটন বলতে স্যার (প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যেটা বলেছেন— তা হচ্ছে ‘ব্যবস্থা’। এটা কোনোভাবেই ৭১ নয়, কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধ নয়।

তিনি বলেছেন, যে ব্যবস্থা দিয়ে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার তৈরি হয়, সেই ব্যবস্থাকে রিসেট করার কথা বলেছেন স্যার। সেই ব্যবস্থার ওপর ‘রিসেট বাটন’ টেপা হবে, আমরা একটা ‘নতুন ব্যবস্থা’র ভেতরে ঢুকব’।

মঙ্গলবার নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র ইউটিউব চ্যানেলে খালিদ মহিউদ্দিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মাহফুজ আলম তার ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন, আন্দোলনে নাহিদ ইসলাম যে এক দফা ঘোষণা করেছিলেন, যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, স্যার মূলত সেই ব্যবস্থার কথাই বলেছেন। ১৯৭১ ও মুক্তিযুদ্ধ সরকার ও আন্দোলনকারীদের কাছে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার ও আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের সবার অবস্থান খুবই স্পষ্ট যে- ১৯৭১ আমাদের জন্য একটা মাইলস্টোন। ওখান থেকে আমরা শুরু করব। শুধু ওখান থেকেই শুধু নয়, আমাদের একটা বিষয় অনালোচিত ছিল ‘৪৭-এর প্রশ্ন। আমরা ৪৭, ৭১ ও ২৪ কে এক সুতোই গাঁথার চেষ্টায় আছি।

সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, পলিটিক্যাল কমকিউনিটি আকারে বাংলাদেশের জনগণ যে লড়াইটা করেছিল বিশেষ করে বাঙালি মুসলমান, এই লড়াইটাতে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। ৭১ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, তরুণরা ‘রিসেট বাটন’ চেপেছে; সব পুরনো শেষ- বলে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এমন মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্য নিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024
Developed BY www.budnews24.com