শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠালো ইসরাইল

  • সময়: রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১১.৩০ এএম
  • ৫৬ জন

গাজায় যাওয়ার পথে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে আটক করা ১৩৭ জন অধিকারকর্মীকে তুরস্কে পাঠিয়েছে ইসরাইল। শনিবার ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাতে দেশটির গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরাইলি বাহিনী জাহাজ থামিয়ে তাদের আটক করে জোর করে ইসরাইলে নিয়ে যায়। পরে আটক ব্যক্তিদের তুরস্কে পাঠানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তুরস্কের বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিমান। এটির ভেতর ওই ১৩৭ অধিকারকর্মী রয়েছেন। তাদের তুরস্কের বিমানবন্দরে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।

ধারণা করা হচ্ছে তুরস্ক থেকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন এসব অধিকারকর্মী।

ইসরাইলের দৈনিক হারেৎজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, আটক ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিশিয়া ও তুরস্কের নাগরিক।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪৫টির বেশি নৌযান নিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এসব নৌযানে প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সুইডেনের জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশের অধিকারকর্মী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ছিলেন।

কিছু নৌযান নিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে এতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অন্য নৌযানগুলো যুক্ত হয়।

গত বুধবার গাজার জলসীমায় প্রবেশের আগেই নৌবহর বা ফ্লোটিলাতে হানা দেয় ইসরাইল বাহিনী। ওই দিনই কিছু নৌযান জব্দ ও আরোহীদের আটক করা হয়। পরের দিন একটি ছাড়া অন্য সব নৌযান জব্দ ও আরোহীদের আটক করা হয়। পরে শুক্রবার সর্বশেষে নৌযান ম্যারিনেটও আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী।

জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বারবার সতর্ক করেছে, গাজা এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে; সেখানে দুর্ভিক্ষ ও রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ফ্লোটিলার মানবিক প্রচেষ্টা ও বন্দীদের প্রতিবাদ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

উল্লেখ্য, প্রায় ১৮ বছর ধরে ইসরাইলের প্রায় ২৪ লক্ষ মানুষের বাসস্থান গাজায় কঠোর অবরোধ বজায় রেখেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় ৬৬,২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved by BUD News 24-2025
Developed BY www.budnews24.com