শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের চিত্রটাই যেন পুনরাবৃত্তি হলো; একই লক্ষ্য, সাইফ হাসানের ফিফটি। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারলেন না তাওহীদ হৃদয়। একই পথে হাঁটলেন বাকিরাও। তাতে জয়টাও এলো না। ৪১ রানের বড় জয়ে ফাইনালে পা রাখল ভারত। বাড়ল বাংলাদেশের অপেক্ষা। তাদের সামনে অপেক্ষা করছে পাকিস্তান পরীক্ষা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে তানজিদ বিদায় নিলেও পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪৪ রান তোলে বাংলাদেশ। ভারতীয় স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই রানের গতি কমে যায় বাংলাদেশের। একপ্রান্ত থেকে সাইফ হাসান রান করে গেলেও অপর প্রান্তে ছিল উইকেট পতনের মিছিল। শেষমেষ চারবার জীবন পাওয়া সাইফ ৫১ বলে ৬৯ রান করে আউট হতেই শেষ হয় বাংলাদেশের আশা।
সুপার ফোরে টানা দুই জয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সূর্যকুমার যাদবের দল। বাংলাদেশের সম্ভাবনা এখনো আছে। আজ বাংলাদেশ–পাকিস্তান ম্যাচে জয়ী দল উঠবে ফাইনালে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ৩ ওভারে বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে ধৈর্য্য দেখান অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল জুটি। এরপরই শুরু করেন ঝড়। নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান যে ঝড়টা টের পেয়েছেন ভালোভাবেই। তাতে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ভারত তোলে ৭২ রান। এরপরই রিশাদের আঘাত।
পুরো ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন রিশাদ। ২৩ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার দুটি উইকেট নিয়েছেন। তবে বড় অবদান রেখেছেন ফিল্ডিংয়েও। তার দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়েই রানআউট হয়েছেন অভিষেক শর্মা। এর আগে ৬ চার আর ৫ ছক্কায় ৩৭ বলে ৭৫ রান করেছেন অভিষেক।
১২তম ওভারে অভিষেক আউট হওয়ার পর ভারতের রানের চাকাও থমকে যায়। বাংলাদেশের আটসাট বোলিং আর দারুণ ফিল্ডিংয়ে ম্যাচের শেষ ৪৭ বলে ভারত করতে পেরেছে ৫৬ রান। যেখানে মূল ভূমিকা হার্দিক পান্ডিয়ার ২৯ বলে ৩৮ রানের। মাঝ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন শিবম দুবে ও সূর্যকুমার যাদব।
বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদের দুই উইকেট বাদে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাইফউদ্দিন। উইকেট না পেলেও দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন সাইফ হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ২০ ওভারে ১৬৮/৬ (অভিষেক ৭৫, পান্ডিয়া ৩৮, গিল ২৯, অক্ষর ১০; রিশাদ ২/২৭, তানজিম ১/২৯, মোস্তাফিজ ১/৩৩, সাইফউদ্দিন ১/৩৭)।
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১২৭ (সাইফ ৬৯, পারভেজ ২১; কুলদীপ ৩/১৮, বুমরা ২/১৮)।
ফল: ভারত ৪১ রানে জয়ী