রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন

বিয়ের দেড় মাস পর স্বামী জানলেন ‘নববধূ পুরুষ’

  • সময়: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১০.৩৭ এএম
  • ৮৩ জন
সংগ্রহীত ছবি

ফেসবুকে প্রেম থেকে বিয়ে। তারপর দেড় মাস সংসার করে জানা গেল নববধূ পুরুষ! এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায়।

ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান শান্ত যাকে বিয়ে করেছিলেন, সেই নববধূ সামিয়া আসলে একজন পুরুষ পরে জানতে পারেন দাম্পত্য জীবনের দেড় মাস পর। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কথিত সামিয়ার প্রকৃত নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। দীর্ঘদিন ফেসবুকে ‘সামিয়া’ নামে একটি নারীর ছদ্মবেশে পরিচিতি গড়ে তোলেন শাহিনুর। পরবর্তীতে গত ৭ জুন তিনি শান্তর বাড়িতে চলে আসেন। পরিবারের সম্মতিতে, স্থানীয়দের উপস্থিতিতে এবং মৌলভি ডেকে শান্ত ও সামিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এরপর থেকে নববধূ হিসেবে শান্তর পরিবারের সঙ্গে ছিলেন সামিয়া। দেড় মাসেও কেউ বুঝতে পারেননি যে তিনি আসলে একজন পুরুষ। তবে সম্প্রতি তার কিছু আচরণ দেখে পরিবার ও শান্তর মনে সন্দেহ তৈরি হয়। শুক্রবার বিকেলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, সামিয়া প্রকৃতপক্ষে পুরুষ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় হইচই শুরু হয় এবং ঘটনাটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

শান্ত গণমাধ্যমকে জানান, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে সামিয়ার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সে হঠাৎ আমাদের বাড়িতে চলে আসে। পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে দেওয়া হয়। সামিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কাবিননামা রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকেই তার আচরণ রহস্যজনক ছিল। কাছে যেতে চাইলে বলত, আমি অসুস্থ, ডাক্তার নিষেধ করেছে।’

শান্তর মা মোছা. সোহাগী বেগম বলেন, ‘একজন পুরুষ মানুষ আমাদের পরিবারে বউ হয়ে ছিল, অথচ আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। অভিনয় করে আমাদের মন জয় করে নিয়েছিল।’

ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে শাহিনুরকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শাহিনুর রহমান ওরফে সামিয়া বলেন, ‘আমি স্বীকার করি, শান্তর সঙ্গে যা করেছি তা অন্যায়। কিন্তু আমার হরমোনজনিত সমস্যা রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আমি নিজেকে মেয়ে হিসেবে কল্পনা করি। মেয়েদের মতো পোশাক পরতে, সাজতে ভালো লাগে। এজন্যই এই জীবন বেছে নিয়েছিলাম।’

ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ছেলেমানুষ মেয়ে সেজে বিয়ে ও সংসার বিষয়টি পরিষদের এক মেম্বারের মুখ থেকে শুনেছি। তবে এ নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি।’

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved by BUD News 24-2025
Developed BY www.budnews24.com