ইরানে চলছে তীব্র দাবদাহ। কোন কোন এলাকায় তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তীব্র তাপদাহের কারণে দেখা দিয়েছে পানির সঙ্কট। রোববার এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে আল জাজিরা।
চলমান তাপপ্রবাহের কারণে দেশটি তীব্র পানি সংকটের কারণে জনসাধরণেকে পানির ব্যবহার মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে এ সপ্তাহে ইরানে সবেচেয়ে বেশি গরম পড়েছে।
সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানী রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে তেহরান প্রদেশে বুধবার জাতীয়ভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে পান ও বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আবহাওয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, রোববার তেহরানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পৌঁছায়। সোমবার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে।
ইরানে পানির সংকট একটি গুরুতর সমস্যা, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে।
ইরানে, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে, পানির ঘাটতি একটি প্রধান সমস্যা। এই সংকটের জন্য দায়ী করা হয়েছে অব্যবস্থাপনা, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে।
তেহরানের প্রাদেশিক পানি ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ঘাটতি কমাতে পানি ব্যবহার কমপক্ষে ২০ শতাংশ কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের ধারাবাহিক হ্রাসের পর, তেহরানে পানি সরবরাহকারী বাঁধগুলোর জলাধার বর্তমানে এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে।
শনিবার রক্ষণশীল পত্রিকা জাভানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংকট মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ রাজধানীর কিছু অংশে পানি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে কিছু এলাকায় ‘১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি বন্ধ’ থাকছে।
পানি সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার কারণে বাসিন্দাদের কাছে গতকাল রোববার ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী আব্বাস আলিয়াবাদি। তিনি বলেন, যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।