বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই ২৬ এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। যেটা তারেক রহমানের সাথে লন্ডনের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না।
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার এবং মিডফোর্ডে হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে নির্মমহত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে এ সমাবেশ আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। সমাবেশ শেষ মিছিল করে দলটি।
নয়াপল্টন-কাকরাইল-মৎসভবন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে যেয়ে শেষ হয় মিছিল। মিছিলে ঢাকা মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। মহানগর বিএনপির পাশাপাশি দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ৩টায় নয়াপল্টন থেকে মিছিল বের করে ছাত্রদল। ‘গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’র প্রতিবাদে এ মিছিল করে ছাত্রদল। ছাত্রদলের মিছিলটি শাহবাগে যেয়ে শেষ হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, মিটফোর্ডে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি রাজনৈতিক অঙ্গন, কয়েকটি চক্র দেশের রাজনীতিকে একেবারে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এ চক্রান্ত নতুন নয়। এ ষড়যন্ত্র নতুন নয়। যখনই বাংলাদেশের মানুষ উঠে দাঁড়াতে চেয়েছে, মাথা উঁচু করে দাড়াতে চেয়েছে ঠিক সে সময়ই ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
ষড়যন্ত্রকারীরা চেষ্টা করছে বাংলাদেশে যেন নির্বাচন না হয়- এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা চেষ্টা করছে মানুষ ভোটাধিকার যেন প্রয়োগ করতে না পারে।
অশ্লীল ভাষায় আমার নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে তারা কথা বলেছে, স্লোগান দিয়েছে। তারা ভেবেছিল, কথাগুলো বললে, স্লোগান দিলে বিএনপি বোধহয় ঘরের মধ্যে ঢুকে যাবে। বিএনপি হচ্ছে বারবার সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, সমস্ত আঘাত প্রতিহত করে উঠে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি হচ্ছে ফিনিক্স পাখির দল।
চক্রান্তকারীদের পরিকল্পনাটা অত্যন্ত ভয়াবহ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে আবার একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা, অস্থিরতা সৃষ্টি করা, বিভাজন সৃষ্টি করা, যেখানে গণতন্ত্র আবার কবর রচিত হবে। ভয়াবহ ফ্যাসিস্টকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে ছাত্রজনতা, ফিরিয়ে আনার জন্য নয়। পরিষ্কার ঘোষণা, আমরা যেভাবে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করতে পেরেছি, ঠিক সেভাবেই জনগণকে সাথে নিয়ে কোনদিন যেন আবার ফ্যাসিস্ট চালু হতে না পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমরা করব”।
নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা কারো পাতা ফাঁদে যেন পা না দেই। তারা চেষ্টা করছে আমাদেরকে উত্তেজিত করে তাদের পাতা ফাদে পা দেওয়ার জন্য। আমরা যেন উত্তেজিত না হই, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র চাই”।
যখনই লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে করে তারেক নিশ্চিত করে ফেলেছেন এইবার নির্বাচন হবে। তখন থেকেই তাদের মাথা বিগড়ে গেলো জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ধৈর্য ধরে সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে-বলেন মির্জ ফখরুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।