চোট অনেক দিন ধরেই লুকোচুরি খেলে যাচ্ছে। তাই তো ইনজুরির ধকল কাটিয়ে উঠতেই বেশি সময় কেটেছে নেইমার জুনিয়রের। সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছেন খুবই কম। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্রাজিলিয়ান এ সুপারস্টার ফর্মে ফিরুক- এটাই যেন মনেপ্রাণে চান ফুটবল অনুরাগীরা। তাদের সেই চাওয়া যেন পূর্ণ হতে যাচ্ছে। সান্তোসে নতুন চুক্তি করেই মাঠের লড়াইয়ে ঝলক দেখিয়েছেন নেইমার। দেসপোর্তিভা ফেরোভিয়ারিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে নিজে গোল করেছেন। সতীর্থের গোলেও রেখেছেন অবদান। নেইমারের দ্যুতি ছড়ানো লড়াইয়ে সান্তোস ছিনিয়ে নিয়েছে ৩-১ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়।
কারিয়াসিকার ক্লেবের আন্দ্রাদে স্টেডিয়ামের ম্যাচে নেইমার জায়গা পেয়েছিলেন শুরুর একাদশে। তবে প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারদের বাজে ট্যাকলের শিকার হতে হয়েছে তাকে। তারপরও পিছপা হননি ব্রাজিলিয়ান এ মেগাস্টার। নিজের স্বভাবসুলভ খেলাই খেলে গেছেন নেইমার। যে কারণে গোলের সন্ধান পেতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি তাকে। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় নিজের চিরচেনা পেনাল্টি শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়ে দেন বার্সেলোনার সাবেক এ তারকা। দ্বিতীয় মেয়াদে সান্তোসের হয়ে এটি তার চতুর্থ গোল। মিনিট ১১ পর গিয়ের্মের গোলে অ্যাসিস্টও করেন নেইমার। বিরতির পর অবশ্য আর মাঠে নামেননি। তার পরিবর্তে খেলেন পাদুলা।
এ ম্যাচে খেলেন ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার রবিনহোর ছেলে রবিনহো জুনিয়র। বাবার ৭ নম্বর জার্সি গায়ে জড়িয়ে দারুণ খেলেছেন। সান্তোসের হয়ে সতীর্থ দিয়েগো পিতুচার গোলে অবদান রেখে রাঙিয়েছেন নিজের অভিষেক। তবে পুরো ৯০ মিনিট খেলা হয়নি। দর্শক মাঠে ঢুকে পড়ায় আগে-ভাগেই শেষ করতে হয়েছে প্রীতি ম্যাচটি।