প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, যে সংস্কারগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, সেগুলো এ সরকারের অধীনে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন নুরুল হক নূর। নূরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সকলেই যেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে জোর দিয়ে হলেও দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কার্যকর সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করি। সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর চেয়েও জাতীয় স্বার্থ এবং দেশকে প্রাধান্য দেই। এটা কমিশনের কাছে চাওয়া।
গত ১৬ বছরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্দোলন করেছিল। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট এমন ছিলো, চাইলেও এ সব মানুষের ও আমাদের বেশি কিছু করার ওই সময় ছিলো না। কিন্তু আমরা একটা প্রেক্ষাপট তৈরি করেছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বাংলাদেশের আগামীর অগ্রযাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নুরুল হক নূর।
গত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন নূর। তিনি বলেন, আগামীতে যেন কোনো শাসক এরকম পথ অবলম্বন করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মধ্যে না পেলতে না পারে সে জন্য কার্যকর সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চাই।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ১২৭টিতে একমত, ১৫টিতে দ্বিমত, ২৩টিতে আংশিকভাবে একমত বলে লিখিত মতামতে জানিয়েছে বলে জানা গেছে।