কিলিয়ান এমবাপ্পে জোড়া গোল করেছেন, জুড বেলিংহাম ও আলভারো কারেরাসও গোল পেয়েছেন। তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে রিয়াল মাদ্রিদ শনিবার লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। এই জয়ে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ এখন দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিয়ারিয়ালের চেয়ে সাত পয়েন্ট এগিয়ে গেল।
মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এই জয় রিয়ালের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লিভারপুলের সেই ম্যাচ সামনে রেখেও মাদ্রিদের কোচ জাবি আলোনসো ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তার সবচেয়ে শক্তিশালী একাদশই নামান। বার্সেলোনার বিপক্ষে বদলি হয়ে রাগ দেখিয়ে আলোচনায় চলে আসা ভিনি গত রাতে খেলেছেন লেফট উইংয়ে।
ওদিকে ভ্যালেন্সিয়া টানা ছয় ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি। ১৮তম স্থানে থাকা দলটি রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছিল। শুরুতে তাদের পরিকল্পনা কিছুটা কাজও করছিল। তবে ১৯তম মিনিটে দৃশ্যটা বদলে যায়। ভিএআর রিভিউয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদ পেনাল্টি পায়। এদের মিলিতাওয়ের হেড সিজার তার্রেগার হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন।
গত সপ্তাহে বার্সেলোনার বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করা এমবাপ্পে এবার শান্তভাবে বল পাঠান গোলরক্ষক হুলেন আগিরেজাবালার বিপরীত দিকে। এটি তার মৌসুমের ১২তম লিগ গোল, স্প্যানিশ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে আছেন তিনি।
এরপরই আসে তার ১৩তম গোল। আর্দা গুলার ডানদিক থেকে ক্রস পাঠান, এমবাপ্পে সেটা দারুণ ভলিতে বল জালে পাঠান। ম্যাচ শুরুর আগে তিনি দর্শকদের সামনে তার ‘গোল্ডেন বুট’ ট্রফি প্রদর্শন করেন, যা তিনি গত মৌসুমে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে পেয়েছিলেন।
ভিনিসিয়ুস প্রথমার্ধেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারতেন। কিন্তু তার মাঝখানে মারা দুর্বল পেনাল্টি রুখে দেন আগিরেজাবালা। থিয়েরি কোরেইয়া আলভারো কারেরাসকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। এমবাপ্পেকে নিতে বলেন ভিনিসিয়ুস, তবে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব নেন জুড বেলিংহাম। তিনি দুর্দান্ত এক শটে নিচের কোনায় বল পাঠিয়ে গোল করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন ইংলিশ তারকা বেলিংহাম। এর আগে তিনি জুভেন্টাস ও বার্সেলোনার বিপক্ষেও গোল করেছেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে আর তেমন উত্তেজনা ছিল না। তবে ৮২তম মিনিটে আলভারো কারেরাস দুর্দান্ত এক শটে গোল করেন। বাম দিক থেকে নেওয়া জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে যায়।
এর কিছুক্ষণ আগেই আলোনসো ভিনিসিয়ুসকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামান। এবার কোনো অভিযোগ করেননি ভিনিসিয়ুস।
এই জয়ের আগেই রিয়াল বার্সেলোনার চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল, দুইয়ে থাকা ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান ছিল ৪ পয়েন্টের। এই জয়ের পর আপাতত দুটো দলেরই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে দলটা। এখন ১১ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল বার্সার চেয়ে ৮ আর ভিয়ারিয়ালের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেল।