বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের ক্ষেত্রে নাশকতাসহ আমরা কোনো কিছুই উড়িয়ে দেব না, সবকিছুই আমলে নেব,’ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এভাবে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগুনে পোড়া কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
গত শনিবার কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সবকিছু আমলে নিয়েই অনুসন্ধান চালানো হবে। যত ধরনের অভিযোগ আছে, প্রতিটি অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, যারা আগুনের পূর্ববর্তী ও বর্তমান অবস্থাসহ পুরো ঘটনার ক্যাটালগিং করবে।
পরে গোয়েন্দা সংস্থাসহ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে এর রহস্য উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করব। কার্গো ভিলেজের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে জানিয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ধ্বংসের অর্থনৈতিক ও ওজনের পরিমাণ নির্দিষ্ট করার আমরা চেষ্টা করছি। এছাড়া খাতভিত্তিক পরিমাণ নির্ণয়েরও চেষ্টা আমরা করছি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দর হলো কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন (কেপিআই) এলাকা। এখানে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা আছে। আগুন লাগার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবু যত ধরনের অভিযোগ এসেছে, তা আমলে নিয়ে আজকের আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করব। যেন পণ্য সরবরাহে কোনো রকম জটিলতা না হয়। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ইনস্যুরেন্স কভারেজে কী আছে, বিমানবন্দরে ইনস্যুরেন্স কভারেজ কী আছে সবকিছু আমলে এনে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন জানান, ‘প্রায় ২১টার মত ফ্লাইট ডাইভার্ট ও বাতিল করতে হয়েছে। যাত্রীদের কষ্ট দূর করতে আমরা একটা অর্ডার ইস্যু করেছি। যার মাধ্যমে আগামী তিন দিন যত নন শিডিউলড ফ্লাইট আসবে, তার সকল খরচ আমরা মওকুফ করে দেব।’
তিনি আরো বলেন, ‘তাছাড়া, যাত্রীদের খাওয়া দাওয়া, সেবার যাবতীয় দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করেছি। তবে আমাদের প্রচেষ্টার পরেও কিছু ঘাটতি থেকে যেতে পারে, কারণ একত্রিতভাবে আমাদের অনেকগুলো ইস্যু মোকাবেলা করতে হচ্ছে। যাত্রী সাধারণরা যে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’