আফগানিস্তানকে হারাতে পারলেই হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দারুণ বোলিংয়ের পর ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়েও শুরুটা ছিল সাবলীল। জাকের আলী-শামীম পাটোয়ারীর বিদায়ের পরই খানিকটা ভড়কে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। তাতে খানিকটা দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ১২ বল আগে নিশ্চিত করা এই জয়ে আফগানদের প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা
১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৪ রানে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমকে নিয়ে ৩৯ বলে ৫৫ রানের জুটি। আর তাতে খানিকটা স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে। তানজিদ ৩৩ বলে ৩৩ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। পরে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে ১৯ বলে ৩০ রান যোগ করেন সাইফ। ১১ বলে ১০ করে জাকের ফিরলে পরের বলেই মুজিব উর রহমানের শিকারে পরিণত শামীম পাটোয়ারি। তবে টানা দুই উইকেট হারিয়ে খেই হারায়নি বাংলাদেশ।
বরং, সাইফের দারুণ দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায়। দারুণ ছন্দে থাকা সাইফ তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। একের পর এক ছক্কা হাঁকানো সাইফের পুরো ইনিংসে ছিল ৭ ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৬৪ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো আফগানদের হয়ে ২৯ বলে ৩২ রান করেন দারুইশ রাসুলি। এছাড়া ২৮ রান আসে সেদিকুল্লাহ আতালের ব্যাটে। বাংলাদেশের হয়ে ১৫ রানে তিন উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ১৪৪/৯, ২০ ওভার (রাসুলি ৩২, সেদিকুল্লাহ ২৮; সাইফউদ্দিন ৩/১৫)
বাংলাদেশ: ১৪৫/৪, ১৮ ওভার (সাইফ ৬৪*, তানজিদ ৩৩, মুজিব; ২/২৬)
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: সাইফ হাসান।
সিরিজ সেরা: নাসুম আহমেদ।