টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুই দলের ১৭ দেখায় বাংলাদেশের জয় মাত্র এক ম্যাচে। বিপরীতে ১৬ বার জয়ের হাসি হেসেছে ভারত। দিল্লিতে ২০১৯ সালে পাওয়া ওই জয়ের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ছয় বছর। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুই দলের ১৭ দেখায় বাংলাদেশের জয় মাত্র এক ম্যাচে। বিপরীতে ১৬ বার জয়ের হাসি হেসেছে ভারত। দিল্লিতে ২০১৯ সালে পাওয়া ওই জয়ের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ছয় বছর। পরিসংখ্যানে দুই দলের এমন অসম অবস্থানের পরও বাংলাদেশ-ভারত লড়াই ছড়ায় বাড়তি উত্তেজনা। সেই উন্মাদনার মধ্যে আজ জয়ের লক্ষ্যে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত সাড়ে ৮টায়। এই ম্যাচের আগে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স। সুপার ফোরে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে সুপারভাবে!
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে আজ প্রতিপক্ষ এবারের এশিয়া কাপের হট ফেভারিট দল ভারত।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দারুণ ছন্দে আছে ভারত। এখন পরযন্ত টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল তারাই। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে যে আক্রমনাত্মক ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছে ভারত তাতে ফাইনালের অনেক আগেই প্রায় সব ক্রিকেট পন্ডিত তাদের হাতেই ট্রফি দেখছেন!
শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে তো ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছে ভারতীয় ওপেনাররা। এমন দারুণ ব্যাটিং লাইনআপ বাংলাদেশি বোলারদের জন্য তৈরি করেছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ। শুধু বোলারদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ নয়, ব্যাটারদের জন্যও ভারত ম্যাচ হতে যাচ্ছে কঠিন পরীক্ষার মঞ্চ।
জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদ্বীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তীরা বল হাতে আছেন দারুণ ছন্দে। ফলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের রান করতে হলে খেলতে হবে বেশ দেখেশুনে। তানজিদ তামিম-সাইফ হাসানদের পাশাপাশি এই চাপ সামাল দিতে হবে তাওহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক লিটন দাসকে। তবে এই চ্যালেঞ্জে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা হতে পারে সবশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাওয়া জয়। দুবাইয়ে ওই ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে একরকম দাপট দেখিয়ে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
ওই জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামতে যাওয়া বাংলাদেশ একাদশে আসতে পারে দুই পরিবর্তন। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে বল হাতে পারফর্ম করতে না পারা শরিফুল ইসলামের একাদশ থেকে বাদ পড়া একরকম নিশ্চিত। তার জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন তানজিম হাসান সাকিব। বল হাতে দারুণ পারফর্ম করার সামর্থ্যের পাশাপাশি ব্যাট হাতে শেষদিকে ঝড় তোলার সামর্থ্যও আছে তার।
অন্যদিকে একাদশে সুযোগ মিলতে পারে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের। সেক্ষেত্রে একাদশ থেকে শেখ মাহেদি কিংবা নাসুম আহমেদকে বাদ দিতে হবে। তবে সে পথে হয়তো হাঁটবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে তানজিম সাকিবকে না খেলিয়ে রিশাদকে খেলানোর ঝুঁকি নিতে পারে বাংলাদেশ। একাদশে এক না দুই পরিবর্তন-এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্যে পারভেজ হোসেন ইমনের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেমেছে একদম শূন্যের কোটায়। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে সাইফ হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে। ফলে ওপেনিংয়ে সাইফ হাসানের সঙ্গে এই ম্যাচেও তানজিদ তামিমকে দেখা যাবে।
বোলিং আক্রমণে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে শেখ মাহেদি-নাসুম আহমেদের থাকাটা নিশ্চিত। সঙ্গে থাকবেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। এই বোলিং ইউনিট কতটা দ্রুত ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে থামিয়ে দিতে পারে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। অভিষেক শর্মা-শুভমান গিলদের সঙ্গে সাঞ্জু স্যামসনদের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে পুরো বোলিং ইউনিটের জন্য।
দুবাইয়ে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমে উইকেট সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে উইকেট কিংবা কন্ডিশন-সবকিছু নিয়ে পূর্ণ ধারণাকে সঙ্গী করে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।