শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন

আড়াই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনলো ১৭৫ কোটি ডলার

  • সময়: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০.৪৯ এএম
  • ৭৭ জন

বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার ক্রয় করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার ২৬ ব্যাংক থেকে আরও ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে। এ নিয়ে গত জুলাই থেকে সোমবার পর্যন্ত আড়াই মাসে ১৭৫ কোটি ডলার কিনেছে। এতে রিজার্ভ বাড়ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২২ সাল থেকে ডলার বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সরকার বাজার স্থিতিশীল রাখতে না পেরে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার ছাড়ে। তবুও স্থিতিশীলতা ফেরেনি। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থপাচার রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এতে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় ভালোভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলো থেকেও বড় অঙ্কের ঋণ পাওয়া গেছে। এর ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তবে সরবরাহ বাড়লেও চাহিদা কম থাকায় ডলারের দর নিম্নমুখী। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর অতিমাত্রায় কমতে দিচ্ছে না—মূলত প্রবাসী আয়কারী ও রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার্থে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত তিন অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। অথচ এই সময়ে মাত্র ১ বিলিয়ন ডলারের মতো ডলার ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে কেনা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে ডলারের চাহিদার চেয়ে জোগান বেশি রয়েছে। ডলারের দাম যাতে অস্বাভাবিকভাবে কমে না যায়, সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনে বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখছে। ডলারের দর কমে গেলে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ তিনি আরও জানান, ডলার কেনার মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে।

আইএমএফ’র ঋণ কর্মসূচির শর্ত পূরণে গত মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করে। তার এক বছর আগেই চালু করেছিল ক্রলিং পেগ পদ্ধতি, যেখানে বিনিময় হার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু থাকলেও ডলারপ্রতি দর ১২৩ টাকার বেশি উঠলে বা ১২১ টাকার নিচে নামলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করবে এবং বিনিময় হারের একটি সীমা বজায় রাখবে।

ডলার কেনা ও ডলারের সরবরাহ বাড়ায় রিজার্ভও বাড়ছে। রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে বিদেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রোববার দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম ৬) অনুযায়ী এই পরিমাণ প্রায় ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের এই সময়ে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম ৬ অনুযায়ী ২০ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved by BUD News 24-2025
Developed BY www.budnews24.com