রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল বন্ধে কঠোর সরকার

  • সময়: সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২.০৫ পিএম
  • ৩৭ জন

নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের সংগঠন ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ঝটিকা মিছিলের উৎপাত বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হওয়া মামলাগুলোর চার্জশিট দ্রুত দেওয়া হবে। ক্রমান্বয়ে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার আসামিদের আইন অনুযায়ী দ্রুত বিচারকাজ শেষ করার ব্যাপারে প্রসিকিউশিন বিভাগকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখাতে বলা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর সংঘবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার বিষয়েও পরামর্শ এসেছে। উচ্চপর্যায়ের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত শুক্রবার বাংলামোটর ও গুলশান এলাকায়, শনিবার কুমিল্লার চান্দিনা মহাসড়কে ভোরে ১৫ থেকে ২০ জন ঝটিকা মিছিল বের করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দলটি।

এদিকে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের একটি দলের স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতার ইন্ধনে মূলত তুলনামূলক বড় ধরনের মিছিল বের করেছে আওয়ামী লীগ। ৫ আগস্টের পর ওই নেতার নানামুখী নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়। ওই মিছিলের পর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট একাধিক সংস্থার পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান নিতে পরামর্শ দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায় এবং সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে। জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের দুটি বড় দলের মধ্যকার বিরোধের কারণে আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে মুজিববাদী কর্মীরা।

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের উৎপাত ও ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টার প্রেক্ষাপটে করণীয় বিষয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ওমর ফারুক বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য এ জন্য অনেকাংশে দায়ী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হওয়ার পাশাপাশি দলগুলোকে আওয়ামী লীগ, চৌদ্দ দলসহ ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বিষয়ে সংঘবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী আমার দেশকে বলেন, ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে কোনো ছাড় নয়। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে। ডিএমপিতে প্রতিদিনই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে মিছিলকারীদের। আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিরাপত্তা সংস্থা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র আমার দেশকে বলেছে, পুলিশ যেহেতু নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তাই তাদের আরো কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের দুটি বড় শক্তিকে এলাকাভিত্তিক আওয়ামী কর্মীদের বিষয়ে নমনীয়তা না দেখাতে দল দুটিকে পরামর্শ দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। দল দুটির বিভেদকে কাজে লাগিয়ে এবং ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কোনো নেতার প্রশ্রয়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীরা যাতে মাঠে না নামতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনে প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপাররা বৈঠক করবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। সেখানে দলগুলোর সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। যেমনটি গত ৬ আগস্ট করেছিলেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।

পুলিশের এই কর্মকর্তারা বলছেন, ডিএমপির ডিবি পুলিশ সাম্প্রতিককালে খুব ভালো করছে। ঝটিকা মিছিলকারীদের খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতেও একই ধরনের তৎপরতা দেখানোর জন্য নির্দেশনা দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম শানতু আমার দেশকে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধীসহ সংশ্লিষ্ট সব আইনের বিধান কার্যকরের মাধ্যমে জনশৃঙ্খলা ও জনশান্তি রক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) এএইচএম শাহাদাত হোসেন আমার দেশকে বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে

আপনার সামাজিক মাধ্যমে খবরগুলো শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved by BUD News 24-2025
Developed BY www.budnews24.com